Ilish: মাছ নিয়ে বাঙালির আদরের শেষ নেই। তার মধ্যে ইলিশ হলে তো কথাই নেই। ভাল খবর হল, বাংলায় এসেছে পদ্মার ইলিশ। ইলিশের এই মারকাটারি চাহিদার জন্য বোধহয় ইলিশের চোলাচালানও শুরু হয়েছে।
তেমনই একটা ঘটনার কথা জানা গেল মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরে। সেখানে ১৪০ কেজি ইলিশ ধরা পড়ল। সেগুলি নিয়ম না মেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামপুর থানার ইসলামপুর টোলে নাকা তল্লাশি চালানোর সময় ১৪০ কেজি ইলিশ মাছ-সহ পুলিস দুই জনকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিস জানিয়েছে, ধৃত দুই জনের নান বিদ্যুৎ হালদার ও বিপ্লব হালদার।
বিদ্যুৎ হালিদারেরববাড়ি জলঙ্গি থানার হোগলারদেয়ার এবং অপর জনের বাড়ি ওই থানা এলাকার জয়কৃষ্ণপুরে।
ইসলামপুর থানার পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সূত্র মারফত খবর ছিল বৃহস্পতিবার বিকেলে ওপার বাংলা থেকে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ সীমান্ত পেরিয়ে আসছে।
খবর মোতাবেক বিকেল থেকেই ইসলামপুর টোল এবং টোল সংলগ্ন এলাকায় নাকা তল্লাশি শুরু হয়। রাত ১০ টা নাগাদ একটি মারুতি ভ্যানে তল্লাশি চালিয়ে ১৪০ কেজি ইলিশ উদ্ধার হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ইলিশের কদর এবং চাহিদা এই রাজ্যে তুঙ্গে।
বর্ষার মরসুম শুরু হওয়ার পরে থেকেই চোরাপথে সীমান্ত পেরিয়ে এ রাজ্যে আসছে।
বেশ কিছু ক্ষেত্রে চোরাকারবারিরা সফল হলেও বিএসএফ ও পুলিশের হাতে ধরাও পড়ছে। কিছুদিন আগে জলঙ্গি সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের সময় বিএসএফ ২৫৭ কেজি ইলিশ উদ্ধার করে।
বহু প্রতীক্ষার পর কলকাতা এল বাংলাদেশের ইলিশ। বুধবার রাতে বাংলাদেশ থেকে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত হয়ে ইলিশ বোঝাই লরি এ রাজ্যে ঢোকে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারের শুরু হয়েছে ওই ইলিশের বেচাকেনা।
২০১২ সালে শেখ হাসিনার সরকার ইলিশ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
এরপর ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় ইলিশ রফতানি বন্ধ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার গত দু'বছর পর এ বছরেও পুজোর আগে উপহার হিসেবে বাংলাদেশের ইলিশ পাঠাতে রাজি হয়।