Advertisement

'বামফ্রন্টের পথেই হাঁটছে তৃণমূল', বাগনান গণধর্ষণকাণ্ডে আক্রমণ অগ্নিমিত্রার

রাজ্যের নারী নির্যাতন নিয়ে বলতে গিয়ে বাম আমলের প্রসঙ্গ টেনে আনেন অগ্নিমিত্রা পল। তিনি বলেন, 'বামফ্রন্টের আমলে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু (Jyoti Basu) যেমন ধর্ষণের বিষয়ে বলেছিলেন এইরকম তো হয়েই থাকে। বর্তমান রাজ্য সরকারও ঠিক সেই পথেই হাঁটছে। বামফ্রন্ট (Left Front) যেভাবে ধর্ষণকে রাজনৈতিক টুল হিসেবে ব্যবহার করেছিল, তৃণমূল সরকারও তাই করছে।' 

অগ্নিমিত্রা পল
ভোলানাথ সাহা
  • হুগলি,
  • 11 Aug 2021,
  • अपडेटेड 3:58 PM IST
  • নারী নির্যাতন নিয়ে রাজ্যের সমালোচনায় অগ্নিমিত্রা
  • 'ধর্ষণকে রাজনৈতিক টুল হিসেবে ব্যবহার করছে তৃণমূল'
  • মন্তব্য বিজেপি নেত্রীর

বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তৃণমূল তথা সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul)। রাজ্যের নারী নির্যাতন নিয়ে বলতে গিয়ে বাম আমলের প্রসঙ্গ টেনে আনেন অগ্নিমিত্রা। তিনি বলেন, 'বামফ্রন্টের আমলে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু (Jyoti Basu) যেমন ধর্ষণের বিষয়ে বলেছিলেন এইরকম তো হয়েই থাকে। বর্তমান রাজ্য সরকারও ঠিক সেই পথেই হাঁটছে। বামফ্রন্ট (Left Front) যেভাবে ধর্ষণকে রাজনৈতিক টুল (Political Tool) হিসেবে ব্যবহার করেছিল, তৃণমূল সরকারও তাই করছে।' 

অগ্নিমিত্রা অভিযোগ, 'গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত দুই তৃণমূল (TMC) নেতা কুতুবউদ্দিন মল্লিক ও দেবাশিষ রানাকে এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ। পরিবর্তে অন্য ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।' একইসঙ্গে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসককেও নিশানা করেন অগ্নিমিত্রা। বিজেপি নেত্রী বলেন, 'নির্যাতিতা বলছেন ধর্ষণ হয়েছে, আর চিকিৎসক বলছেন হয়নি।' আর এই ধরনের ঘটনা থেকে নজর সরাতেই তৃণমূল ত্রিপুরায় গিয়ে নাটক করছে বলেও দাবি করেন অগ্নিমিত্রা পল। 

ঠিক কী অভিযোগ?

প্রসঙ্গত, হাওড়ার (Howrah) আমতার বাগনান থানার অন্তর্গত বাইনান এলাকার এক বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগে হ‌ওয়া স্ট্রোকের কারণে কথা বলতে পারেন না ওই মহিলা। গত শনিবার বিশেষ কাজে কলকাতায় যান তাঁর স্বামী। অভিযোগ, সেই সুযোগে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কুতুবুদ্দিন মল্লিক ও যুব সভাপতি দেবাশিষ রানা সহ ৫ জন রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁদের বাড়িতে গিয়ে ওই মহিলার নাম ধরে ডাকে। স্বামী ফিরেছেন মনে করে ওই মহিলা দরজা খুলতেই তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। চলে গণধর্ষণ।  

এরপর ভোর ৫টা নাগাদ মহিলার বড় ছেলে ঘুম থেকে উঠে তাঁকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। সেই সময় মহিলার স্বামীর মোটরসাইকেলটিও তাঁর ওপর চাপা দেওয়া ছিল। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে বিষয়টি বাবাকে জানান তিনি। এরপর মহিলাকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই বিষয়ে  নির্যাতিতার স্বামীর অভিযোগ, তিনি সক্রিয় বিজেপি কর্মী। বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের বুথে লিড পেয়েছে বিজেপি (BJP)। সেই আক্রোশেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে নির্যাতিতার পরিবার। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। 

Advertisement


 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement