আগ্রায় এক মহিলা তার তথাকথিত প্রেমিককে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে অ্যাসিড ছুড়ে আক্রমণ করেছে। মহিলাটি এতটাই চালাক যে এরপর এই ঘটনার পর সে নিজের উপরে অ্যাসিড হামলা হয়েছে বলে জানায়। সোমবার বিকাল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত করে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়।
অ্যাসিড হামলায় আহত ব্যক্তির নাম হেমশঙ্কর এবং তিনি আবাস বিকাশ কলোনিতে থাকেন। খান্ডারি এলাকায় হেমশঙ্করের একটি কাপড় ও ধাতব জিনিসের দোকান রয়েছে। প্রায় ৬ মাস আগে অভিযুক্ত মহিলা আসমা হেমশঙ্করের দোকানে জিনিসপত্র কিনতে এসেছিলেন। দোকানে জিনিসপত্র কেনার পর আসমা ও হেমশঙ্করের যোগাযোগ হয়।
দুজনেই একে অপরের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে শুরু করেন। আসমা তিন সন্তানের জননী। আসমা মনে মনে হেমশঙ্করকে ভালবাসতে শুরু করেন। সম্প্রতি হেমশঙ্করের বিয়ে ঠিক হয়। তিনি আসমাকে বিষয়টি জানান। বিয়ে ঠিক হওয়ার খবর পেয়ে আসমা হেমশঙ্করকে বিয়ে না করতে এবং বিয়ে ভাঙতে বলেন।
প্রথমে হেমশঙ্কর আসমার বক্তব্যকে রসিকতা বলে মনে করেন, এরপর তিনি হেমশঙ্করকে বিয়ে ভাঙার জন্য চাপ দিতে থাকেন। এখন হেমশঙ্কর বুঝতে পেরেছিলেন যে ব্যাপারটা রসিকতা নয়, গুরুতর হয়ে উঠেছে। হেমশঙ্কর আসমাকে আরও বলেন, তুমি তিন সন্তানের মা। হেমশঙ্কর স্পষ্টতই তার বিয়ে ভাঙতে অস্বীকার করেছিলেন।
এরপর আসমা অ্যাসিড এনে হেমশঙ্করের মুখে ছুড়ে মারে। অ্যাসিড হামলার কারণে হেমশঙ্করের মুখে অনেক জায়গায় পুড়ে যায়। এছাড়া বাঁ কাঁধেও অ্যাসিড পড়ে। অ্যাসিডটি এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এটি হেমশঙ্করের ত্বকের অনেক জায়গায় পুড়ে গিয়েছিল।
আহত হেমশঙ্কর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আসমা এতটাই চালাক যে হেমশঙ্করের উপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করার পর, তিনি হেল্পলাইন নম্বর ১১২ কল করে জানিয়েছিলেন যে, কেউ তার উপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আসমা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ তার ফোনকলে নজর রেখেছে। পুলিশ নজরদারির মাধ্যমে আসমার অবস্থান জানতে পারে এবং পুলিশ আসমাকে আটক করে। আসমা এখন হাজতে রয়েছে।