
রাজস্থানের আলওয়ারে প্রকাশ্যে এসেছে এক রোমহর্ষক চক্রান্ত। তিন বন্ধু নাকি ৬০ লক্ষ টাকার বিমার টাকা তুলতে তাদেরই এক নিখোঁজ সঙ্গীর মতো দেখতে এক যুবককে খুন করেছিলেন। সেই মামলায় মূল অভিযুক্ত অনিল খত্রিকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে।
সরকারি কৌঁসুলি নবনীত তিওয়ারির বক্তব্য অনুযায়ী, বহুদিন ধরে অনিলের ভাই সুনীলের খোঁজ মিলছিল না। তখনই অনিল পরিকল্পনা করেন সুনীলকে মৃত দেখিয়ে তাঁর নামে থাকা ৬০ লক্ষ টাকার এলআইসি বিমা দাবি করা। এই কাজে সহযোগী হিসেবে সে যোগাড় করে পবন এবং ইয়াকুবকে। তিন জন মিলে খুঁজতে থাকে সুনীলের মতো চেহারা বা গড়নের কোনও যুবককে।
অবশেষে সালপুরের বাসিন্দা, মহাবীর ঢাবায় কর্মরত ২৪ বছরের রামকেশকে বেছে নেয় তারা। তাকে ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব করে নিজেদের দিকে টেনে আনে। ৩০ সেপ্টেম্বর রামকেশকে নতুন জামাকাপড় ও জুতো দেয় তারা। তারপর মদ খাওয়ানোর নাম করে তাকে বোলেরো গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
সুযোগ বুঝে রামকেশকে খুন করা হয়। পরে তাঁর পকেটে সুনীলের ভোটার কার্ড রেখে দেওয়া হয়, যাতে দেহটিকে সুনীল বলে শনাক্ত করা যায়। সেই ভিত্তিতে বিমা দাবি করাই ছিল তাদের পরিকল্পনা।
শুরুতে পুলিশ দেহটিকে সত্যিই সুনীল বলে ধরে নিয়ে ময়নাতদন্তও শুরু করে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সন্দেহ তৈরি হয়। তদন্তে নেমে অনিল আর পবনকে গ্রেফতার করা হয়। জেরা চলাকালীন অনিল গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করে। এর আগে পবন ও ইয়াকুব, দু’জনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
শুক্রবার অনিলকে আদালতে তোলা হলে তাকেও যাবজ্জীবন ও ২০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত। ঘটনাটি গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ফেলেছে।