শহরে ফের ধৃত ভুয়ো আইপিএস। ধৃতের নাম অঙ্কিত কুমার সিং। বালির বাসিন্দা অঙ্কিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন লোককে টেক্সট পাঠাত এই বলে যে সাইবার থানায় তাদের বিরুদ্ধে কেস আছে , সে টাকার বিনিময়ে ব্যপারটা মিটিয়ে দিতে পারে। দাবি করত ২০,০০০ থেকে ১ লাখ টাকা। এই কাজ করতে সে ব্যবহার করত কলকাতা পুলিশের লোগো, এমনকি লোককে বিশ্বাস করাতে ব্যবহার করত ইন্টারনেট থেকে নেওয়া উচ্চপদস্থ আইপিএস অফিসারের ছবি। কলকাতা পুলিশ একটি ফেসবুক পোস্টে জানায় ,ব্যপারটি আমাদের নজরে আসতেই এসআই রাজা সাহা এবং তার টীম বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে এবং গতকাল রাতে বালি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। অঙ্কিত ভেবেছিল ২৯ টি হ্যান্ডসেট বদলে, আইপি মাস্ক করে সে আইনের হাত থেকে পালাতে পারবে। কিন্ত সে জানত না যে আইনের হাত অনেক লম্বা।
কয়েকদিন আগেই আরও এক ভুয়ো আইপিএস রাজর্ষি ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানতে পেরেছে, ধৃত রাজর্ষি নিজেকে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারের পরিচয় দিত। অনেকদিন ধরেই নীল বাতির গাড়ি চড়ে ঘুরে বেড়াত সে। প্রাথমিকভাবে তার ভুয়ো পরিচয় কেউ ধরতেই পারেনি। কিন্তু ধীরে ধীরে রাজর্ষির কার্যকলাপে সন্দেহ বাড়তে থাকে। এই নিয়ে পার্কস্ট্রিট থানায় জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন।
জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, রাজর্ষি তার থেকে ২ লক্ষ টাকা দাবি করেন, না দিলে গ্রেফতার করার হুমকিও দেওয়া হয়। অভিযুক্ত দাবি করে সে আইপিএস অফিসার। । অভিযোগ পেতেই লালবাজারের পুলিশ কর্তারা তদন্ত শুরু করে। তারপর সোমবার রাতেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে রাজর্ষি ভট্টাচার্য। তার সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েয় দুই সঙ্গী অভিজিৎ দাস (৪৩) ওরফে সন্তু এবং মহম্মদ সিকন্দরকে (৩৮)। অভিজিৎ দাস রাজর্ষির নিরাপত্তা রক্ষী হিসাবে কাজ করত।দেবাঞ্জন কাণ্ডের পরে রাজ্যে একাধিক জায়গায় থেকে বেশ কয়েকজন ভুয়ো অফিসার ধরা পড়েছে। তারমধ্যে রয়েছে দুই ভুয়ো আইপিএসও।