ফের কেরলের গৃববধূর দেহ উদ্ধার সৌদি আরবের ফ্ল্যাট থেকে। শনিবার অথুল্যা নামের ওই যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ স্বামী সতীশ খুন করেছে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার মা। অভিযোগ অনুসারে, সতীশ মারধর করত অথুল্যাকে। ১৮ থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে তা চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। অথুল্যার পেটে লাথি মারা হয়। তাঁর মাথায় প্লেট দিয়ে আঘাত করে সতীশ।
২০২৪ সালে সতীশের সঙ্গে বিয়ে হয় অথুল্যার। বিয়ের পর থেকেই তাঁর উপর অত্যাচার শুরু করে স্বামী। বিয়ের সময় বাইক, সোনা দেওয়া হলেও মন ভরেনি সতীশের। সে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত। বাপের বাড়ি থেকে টাকা পয়সা আনার জন্য চাপ দিত।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় সতীশের বিরুদ্ধে FIR করেছে পুলিশ। শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচারের ধারায় অভিযোগ দায়েরও হয়েছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে।
কেরলের কোল্লামের বাসিন্দা অথুল্যার একটি মেয়েও রয়েছে। মৃতার বাবা পুলিশকে জানান, সতীশ মদের নেশায় আসক্ত থাকত। সে মাঝে মধ্যেই হিংস্র হয়ে উঠত। তাঁর মেয়েকে মারধর করার খবর পাওয়ার পর ঠিক করেছিলেন তিনি তাঁকে বাড়িতে নিয়ে আসবেন। কিন্তু সেটা আর হল না।
যদিও স্ত্রী-কে মারধর ও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে সতীশ। সৌদি আরবের মিডিয়ার সামনে সে মুখও খুলেছে। জানিয়েছে, কীভাবে তার স্ত্রী মারা গেল সেটা সে জানে না। নিজেও জানতে আগ্রহী। সে খুন করেনি। তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হত একথা সত্যি। তবে খুনের প্রশ্নই ওঠে না।
সতীশের এই প্রতিক্রিয়ায় মৃতার বাবা বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি না আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। ওর সঙ্গে মেয়ের দারুণ সম্পর্ক ছিল। ওর মৃত্যু রহস্যজনক। সতীশ অত্যাচার করত দিনের পর দিন। এর আগে থানায় অভিযোগও জানিয়েছিলাম। তবে কাজ হয়নি। আমি চাই দোষী শাস্তি পাক।'
এর আগে ৮ জুলাই কেরলের এক গৃহবধূ ও তাঁরে মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছিল শারজা থেকে। মৃতা বিপঞ্চিকার স্বামী নিধেশ এই মৃত্যুর জন্য দায়ি বলে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।