Advertisement

বালুরঘাটে আবাসিকদের যৌন নির্যাতন, হোমের কর্ণধারের যাবজ্জীবন

২০১৫ সালের অগাস্ট মাসে হোমের কর্ণধার দিলীপ মহন্তের বিরুদ্ধে আবাসিক বালিকা ও কিশোরীদের দীর্ঘদিন ধরে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তোলেন খোদ হোমের তৎকালীন সুপার ভক্তি সরকার লাহা। সেই সময় ওই হোমে প্রায় শতাধিক শিশু ও কিশোরী আবাসিক থাকত।

প্রতীকী ছবিপ্রতীকী ছবি
Aajtak Bangla
  • বালুরঘাট,
  • 09 Mar 2022,
  • अपडेटेड 9:20 PM IST
  • যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত
  • হোমের কর্ণধারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
  • আরও ২ মহিলার ১০ বছরের জেল

আবাসিক বালিকা ও কিশোরীদের দীর্ঘদিন ধরে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে হোমের কর্ণধারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল দক্ষিণ দিনাজপুর স্পেশাল পকসো আদালত। একইসঙ্গে ৩ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে তাকে। ঘটনায় আরও ২ মহিলাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।  

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের অগাস্ট মাসে হোমের কর্ণধার দিলীপ মহন্তের বিরুদ্ধে আবাসিক বালিকা ও কিশোরীদের দীর্ঘদিন ধরে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ তোলেন খোদ হোমের তৎকালীন সুপার ভক্তি সরকার লাহা। সেই সময় ওই হোমে প্রায় শতাধিক শিশু ও কিশোরী আবাসিক থাকত। তাঁর অভিযোগ ছিল, আগের হোম সুপার ও পরিচারিকার সহায়তায় হোমের শিশু-কিশোরীদের পালা করে গাড়িতে চাপিয়ে কর্ণধার দিলীপ মহন্তের বালুরঘাটের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হতো। সেখানে নাবালিকাদের অচৈতন্য করে তাদের উপরে চালান হত যৌন নির্যাতন।

ভক্তি সরকার লাহা এই অভিযোগ তোলার সঙ্গে সঙ্গেই চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা জেলা জুড়ে। আসরে নেমে পড়ে রাজনৈতিক দলগুলিও। কংগ্রেস-বিজেপিসহ প্রায় সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলই এই নিয়ে আন্দোলনে নেমে পড়ে। প্রবল চাপে মুখে শেষ পর্যন্ত হোমের কর্ণধার ও অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর  থেকে এতদিন জেল হেফাজতেই ছিল অভিযুক্তরা। মঙ্গলবার অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এরপর বুধবার রায়দান করেন বিচারক। 

আরও পড়ুন

 

Read more!
Advertisement
Advertisement