মহাদেব বেটিং অ্যাপকাণ্ডের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই তদন্তে এবার উঠে এল বাংলাদেশি ক্রিকেটার শাকিব আল হাসানের বোনের নাম। এই তদন্তে গ্রেফতার করা হয়েছে সুরজ চোখানিকে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশে 11wicket.com নামে একটি অ্যাপে বিনিয়োগ করেছিলেন চোখানি। ওই বিনিয়োগে তাঁর অংশীদার ছিলেন শাকিবের বোন জানাতুল হাসান।
কিছু দিন আগেই মহাদেব বেটিং অ্যাপকাণ্ডে গিরিশ তালরেজা এবং চোখানকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁদের রায়পুরে পিএমএলএ আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। ইডির হেফাজতে পাঠানো হয় তাঁদের। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে যে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে টিবরেওয়ালস শেয়ারে কয়েকশো কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন চোখানি। পাশাপাশি, কাঠমান্ডুতে ক্যাসিনোতেও বিনিয়োগ করেছেন তিনি।
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি, কাঠমান্ডুতে একচি ক্যাসিনোয় ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন চোখানি। ওই ক্যাসিনোয় তাঁর অংশীদারিত্বও ছিল। এর পাশাপাশি, বাংলাদেশে 11wicket.com অ্যাপে বিনিয়োগ করেছিলেন চোখানি। ওই বিনিয়োগে চোখানির অংশীদার ছিলেন শাকিবের বোন, এমনটাই দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।
ছত্তীশগড় পুলিশের নথিভুক্ত এফআইআরের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে ইডি। পরে বিশাখাপত্তনম পুলিশ এবং অন্যান্য রাজ্যের দায়ের করা এফআইআরগুলিও নথিভুক্ত করা হয়। কালো টাকা পাচারে মহাদেব অ্যাপের হাত রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। বেআইনি বেটিং কারবারে এই অ্যাপ যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে।
ইডি সূত্রে খবর, গিরিশের Lotus365 অপারেশনে অংশীদারিত্ব ছিল মহাদেব অ্যাপের একটি সহায়ক সংস্থা। পুণেতে ওই সংস্থার অফিস ছিল। রতন লাল জৈন ওরফে আমন এবং সৌরভ চন্দ্রকর নামে দুই ব্যক্তির অংশীদার ছিলেন। ওই শাখা থেকে প্রতি মাসে নগদ প্রায় ৫০ কোটি টাকা লেনদেন করা হত। 'ক্যাশ হ্যান্ডলিং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের' সদস্য ছিলেন তালরেজা। ওই শাখায় তল্লাশির সময় ১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।
ইডি তদন্তে আরও জানা গিয়েছে যে, হরিশঙ্কর টিবরেওয়াল বেটিং ওয়েবসাইট 'স্কাইএক্সচেঞ্জ'-এর জন্য বেআইনি বেটিং অপারেশনে মহাদেব অনলাইন বুকের প্রচারকারীদের সঙ্গে অংশীদারিত্বও করেছিলেন। ভারত এবং ভারতের বাইরে বেশ কয়েকটি সংস্থার মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি।