
জাল কাগজপত্র তৈরি করে ভারতে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে গ্রেফতার বাংলাদেশি নাগরিক মামুন হাসান।ভারতীয় হিন্দু মহিলা রিনা চৌহানকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার পর তাকে বাংলাদেশে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করার অভিযোগে মামুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সচিন চৌহানের মিথ্যা পরিচয়ে দেরাদুনের নেহেরু কলোনি এলাকার ইন্দ্রপ্রস্থ এনক্লেভে বসবাসকারী হাসান এবং রিনাকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে যে তারা হাসানের রিনাকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করার বাংলাদেশি নথি উদ্ধার করেছে। পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছে, অভিযুক্ত মামুন রিনাকে ফারজানা আক্তার পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশে বিয়ে করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধর্মান্তরের ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর, বিষয়টির সকল দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রেফতারির পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছ, বাংলাদেশের মেহেরপুর জেলার বাসিন্দা হাসানের সঙ্গে দেরাদুন জেলার তিউনি তহসিলের বাসিন্দা রিনার ২০১৯ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ হয়, এরপর হাসান তার সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনবার ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে যান।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ২০২২ সালে, মামন অবৈধভাবে রিনাকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে যান, যেখানে তারা বিয়ে করেন। একই বছর, দুজন অবৈধভাবে ভারতে ফিরে আসেন, রিনার প্রাক্তন স্বামী সচিন চৌহানের নামে আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং অন্যান্য নথিপত্র সংগ্রহ করেন এবং বিভিন্ন স্থানে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করেন। হাসান তার জাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করে দেরাদুনের একটি ক্লাবে বাউন্সার হিসেবেও কাজ করতেন।
অভিযুক্ত এবং মহিলার বিরুদ্ধে নেহেরু কলোনি থানায় জাল ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরির ষড়যন্ত্র এবং ভারতে অবৈধভাবে বসবাসের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। পরবর্তীতে উভয়কেই গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে জাল সার্টিফিকেট এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা হয়েছিল।
কীভাবে দুজনের প্রেম হয়েছিল?
অভিযুক্ত মামুন হাসান ফেসবুকের মাধ্যমে ওই মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি করেন। তিনি ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে আসেন। তারা দেরাদুনে দেখা করেন। অভিযুক্ত দুই মাস ধরে মহিলার সঙ্গে ছিলেন। তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে, তিনি বাংলাদেশে ফিরে যান। এরপর অভিযুক্ত ২০২০ এবং ২০২১ সালে ট্যুরিস্ট ভিসায় ভারতে ফিরে আসেন। কোভিড-১৯ মহামারির সময় ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সে বাংলাদেশে ফিরে যান। এই সময় তিনি অবৈধভাবে ওই মহিলাকে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে নিয়ে যান, যেখানে তারা বিয়ে করেন বলে অভিযোগ। কিছুদিন পর, অভিযুক্ত এবং ওই মহিলা অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে ফিরে আসে নএবং দেরাদুনের বিভিন্ন ভাড়া বাড়িকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতে থাকেন।