ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে সিসিটিভি ফুটেজ। সেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত ও গ্রেফতার করা চেষ্টা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, সিসিটিভি ফুটেজে যাদের দেখা গিয়েছে, তাদের ছবি বিভিন্ন থানায় পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে তারা যাতে বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে না পারে, সেই বিষয়টিতও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গোটা ঘটনাই পরিকল্পনা করে করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধে পৌনে ৬টা নাগাদ ব্যারাকপুর স্টেশন সংলগ্ন আনন্দপুরী সেন্ট্রাল রোডের একটি সোনার দোকানে লুঠপাট চালায় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী। পুলিশ সূত্রের খবর, দুষ্কৃতীদের দলে ছিল ৩-৪ জন। প্রথমে ক্রেতা হিসেবে দোকানে ঢোকে তারা। কিন্তু দোকানের নিরাপত্তারক্ষীর দেখে সন্দেহ হওয়ায় তিনি প্রশ্ন করেন। এরপরেই আসল রূপ ধারণ করে দুষ্কৃতীরা। দোকানে লুঠপাটের চেষ্টা শুরু করে। সেই সময় দোকানেই উপস্থিত ছিলেন মালিক ও তাঁর ছেলে। দোকান মালিকের ছেলে দুষ্কৃতীদের বাধা দিলে গুলি চালায় তারা। তাতে মৃত্যু হয় দোকান মালিকের ছেলের। গুলিতে আহত নিরাপত্তারক্ষীও। এছাড়াও ডাকাতদের বন্দুকের বাটের আঘাতে আহত হয়েছেন আরও একজন।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় টিটাগড় থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে দোষীদের। একইসঙ্গে দোকানের পাশেই রয়েছে একটি ব্যাঙ্কও। সেক্ষেত্রে লুঠপাট চালানর পর দুষ্কৃতীরা কোন দিকে পালিয়েছে তা জানতে ব্যাঙ্কের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখতে পারে পুলিশ।
এইদিকে ভর সন্ধ্যেয় ব্যারাকপুরের আনন্দপুরীর মতো জনবহুল এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটায় খুব স্বাভাবিকভাবেই ছড়িয়েছে চাঞল্য। আতঙ্কিত এলাকার অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও। একইসঙ্গে ব্যস্ত এলাকায় দুষ্কৃীতরা যেভাবে এই ঘটনা ঘটাল, তাতে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। যদিও দুষ্কৃতীদের দ্রুত ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন - আজ দুইবঙ্গেও ব্যাপক ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা, কতদিন চলবে?