রবিবার সকালে বেহালার সখেরবাজারে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সুপারমার্কেটের সামনে প্রকাশ্যে এক যুবককে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম বাপি হালদার। বয়স ৩০-এর আশেপাশে।
ঘটনাটি ঘটেছে সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ। অভিযোগ, বাপিকে বেধড়ক মারধর করে তাঁরই তিন বন্ধু এবং এক প্রৌঢ়। অভিযুক্তদের ইতিমধ্যে আটক করেছে কলকাতা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতেই তিন বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বাপি। রাতভর তাঁরা মদ্যপান করেন। পরে ভোরবেলা বেহালার সখেরবাজারের সুপারমার্কেট চত্বরে আসেন তাঁরা।
সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ তাঁদের মধ্যে কোনও কারণে বচসা শুরু হয়। সেই বচসা মুহূর্তে হিংসায় পরিণত হয়। অভিযোগ, ওই তিন বন্ধু মিলে বাপিকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করেন। এরপর তাঁদের মধ্যে একজন ফোন করে নিজের বাবাকে ডাকেন। তিনি এসেও মারধরে অংশ নেন বলে অভিযোগ।
সকালে দোকান খুলতে গিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দেখতে পান, সুপারমার্কেটের সামনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বাপি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
বাপির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে। ঘটনাস্থলে মুহূর্তেই ভিড় জমে যায়।
ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে আসে বেহালা থানার পুলিশ। সুপারমার্কেট চত্বর ঘিরে ফেলা হয়। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ।
পুলিশ জানিয়েছে, মূল চার অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তিন জন বাপির বন্ধু এবং এক জন বন্ধুর বাবা বলে জানা গিয়েছে।
তদন্তকারীদের প্রশ্ন, হঠাৎ করে এমন কী ঘটল যে বন্ধুরাই বাপিকে এমন নৃশংসভাবে মারধর করল? পুরনো কোনও শত্রুতা ছিল কি? নাকি ওই মুহূর্তের ঝগড়াতেই এতটা চরমে পৌঁছে গেল পরিস্থিতি? সব সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনার পরে সখেরবাজার এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সকালে বহু মানুষ দোকান খুলতে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধৃতদের আরও জেরা করা হবে বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।