Advertisement

তৃতীয় ব্যক্তির কারণেই হানিমুনের পর আত্মহত্যা স্বামী-স্ত্রীর? কোনওরকমে প্রাণ বাঁচল যুবকের মায়েরও

হানিমুনে গিয়ে বিবাদ। আর তার জেরে বাড়িতে এসে আত্মঘাতী যুবতী। তারপর আত্মহত্যা তাঁর স্বামীরও। এমনকী ওই যুবকের মা-ও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে বেঁচে যান তিনি। বেঙ্গালুরুর এই ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড়।

হানিমুন থেকে এসেই আত্মহত্যা দম্পতির হানিমুন থেকে এসেই আত্মহত্যা দম্পতির
Aajtak Bangla
  • বেঙ্গালুরু ,
  • 29 Dec 2025,
  • अपडेटेड 8:36 PM IST
  • হানিমুনে গিয়ে বিবাদ
  • আর তার জেরে বাড়িতে এসে আত্মঘাতী যুবতী

হানিমুনে গিয়ে বিবাদ। আর তার জেরে বাড়িতে এসে আত্মঘাতী যুবতী। তারপর আত্মহত্যা তাঁর স্বামীরও। এমনকী ওই যুবকের মা-ও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে বেঁচে যান তিনি। বেঙ্গালুরুর এই ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, বিয়ের আগে যুবতীর অন্য কোনও ছেলের সঙ্গে কথাবার্তা হত। তা জানাজানি হওয়ার পরই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়ে যায়। 

গত ২৯ অক্টোবর বেঙ্গালুরুতে ব্যবসায়ী সুরজ শিবান্নার সঙ্গে বিয়ে হয় গণভীর। তিনি এমবিএ সম্পন্ন করেছিলেন। দুই পরিবারের সম্মতিতেই বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই নব-দম্পত্তি শ্রীলঙ্কায় মধুচন্দ্রিমায় যান। পুলিশ সূত্রে দাবি, সেখান থেকেই ঝামেলার সূত্রপাত। 

খবরে প্রকাশ, হানিমুনে গিয়ে সুরজ জানতে পারেন, তাঁর স্ত্রীর বিয়ের আগে অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। এই পরিস্থিতিতে ঝামেলা এই পর্যায়ে পৌঁছয় যে ১০ দিনের হানিমুন সংক্ষিপ্ত করে মাত্র ৫ দিনে ফিরে আসেন তাঁরা। গণভী স্বামীর সঙ্গে থাকতে অস্বীকার করেন ও বাবার বাড়ি চলে যান। 

পরিবারের সদস্যরা দুইজনের সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তা হয়নি। এরইমধ্যে গণভীরের পরিবারের তরফে সুরজদের বিরুদ্ধে পণের জন্য অত্যাচারের অভিযোগ আনা হয়। আত্মহত্যাও করেন ওই নববধূ। তাতেই ভয় পেয়ে যান সুরজ ও তাঁর বাড়ির লোকজন। 

২৩ ডিসেম্বর, সুরজ তাঁর মা জয়ন্তী এবং ভাই সঞ্জয়কে নিয়ে হায়দরাবাদে আসেন। পরদিন সেখান থেকে তাঁরা যান নাগপুরে। শুক্রবার গভীর রাতে সোনেগাঁও থানা এলাকায় একটি হোটেলে ছিলেন। মাঝরাতে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সুরজ। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ভেঙে পড়েন জয়ন্তীও। তিনিও আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে ফাঁসির দড়ি ছিঁড়ে যায়। তিনি প্রাণে বেঁচে যান। 

নাগপুর পুলিশ জানিয়েছে, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। সুরজের দেহের ময়নাতদন্ত হবে। 

সুরজের ভাই সঞ্জয় বলেন, 'যৌতুকের যে অভিযোগ গণভীর তরফে করা হয়েছিল সেটা সত্যি নয়। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। আমরা কোনও দাবি করিনি। আমরাই বিয়ের সমস্ত খরচ বহন করেছি।' 

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement