ভবানীপুর দম্পতি খুনকাণ্ডের রহস্যভেদ। ইতিমধ্যেই ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। ধৃতদের নাম রন্তাকর নাগ, যতীন মেহতা ও সুবোধ সিং। বৃহস্পতিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জানান, লেনদেন নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন। ঘটনায় এক দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের কথা উঠে এসেছে।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে সিপি বিনীত গোয়েল জানান, ২০১৯ সালে টাকা ১ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন নিহত অশোক শাহ। কিন্তু সেই টাকা সময়ে ফেরত পাচ্ছিলেন না তিনি। আগে থেকেই পরিকল্পনা করে এই খুন করা হয়েছে। তবে ঘটনার মূল চক্রী এখনও অধরা। যে কোনও কারণেই হোক ওই দম্পতির প্রতি প্রবল ঘৃণা ছিল ঘটনার মাস্টার মাইন্ডের।
জানা গিয়েছে, ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে আগে থেকেই চিনতেন ওই দম্পতি। ঘটনার দিন নিজের শাগরেদদের নিয়ে ওই দম্পতির বাড়িতে পৌঁছায় সে। দরজায় তাকে দেখে ভিতরে আসতে বলেন দম্পতি। সেই সময় ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার সাঙ্গপাঙ্গরাও বাড়িতে ঢোকে। ভিতরে ঢুকে জল খায় তারা। তারপর চালায় অপারেশন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবারই খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকায় গুজরাতি দম্পতির খুনের ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় গোটা শহর জুড়ে। তড়িঘড়ি তদন্তে নাম পুলিশ। এরই মাঝে উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই সোজা নিহত অশোক শাহ ও রশ্মিতা শাহর বাড়িতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের দুই মেয়ের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,"ভবানীপুর শান্ত ছিল শান্তই থাকবে। এখানে এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করব না। পুলিশ ঘটনার তদন্তে অনেকখানিই এগিয়েছে। খুব শীঘ্রই ধরা পড়বে কালপ্রিট।" আর তারপরেই এদিন ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতারের কথা জানালেন সিপি।
আরও পড়ুন - শেষকৃত্য চলাকালীন হঠাত্ চোখ খুললেন মহিলা, তারপর...