সমাজকে রক্ষা করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সমাজই কি তাঁকে রক্ষা করতে পারল? বিহারে হোমগার্ড নিয়োগের পরীক্ষায় এসে ধর্ষণের শিকার হলেন এক মহিলা। সে রাজ্যের পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার(২৪ জুলাই) বোধগয়া থানা এলাকার একটি মাঠে দৌড়ের পরীক্ষা ছিল। সেই সময়ই প্রবল ধকল, গরমে এক পরীক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাঁকে অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, সেই অ্যাম্বুলেন্সে যাওয়ার সময়েই তার চালক ও টেকনিশিয়ানের নির্যাতনের শিকার হন তিনি।
পুলিশের হোমগার্ডের প্রবেশিকায় সাধারণত দৌড়ের পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার্থীদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লম্বা দুরত্ব দৌড়ে ফিটনেসের প্রমাণ দিতে হয়। সেই মতোই চাকরিপ্রার্থীরা প্রস্তুতি নেন। গত ২৪ জুলাই তেমনই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল। সেই সময়েই এক মহিলা চাকরিপ্রার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রচণ্ড রোদে, গরমে জোরে দৌড়াতে গিয়ে অসুস্থ হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। প্রায়শই পুলিশ, সেনার পরীক্ষায় এমনটা হয়ে থাকে। তার জন্য আগেভাগে অ্যাম্বুলেন্সেরও ব্যবস্থা রাখা হয়।
এদিনও সেই মতো তাঁকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দেন পরীক্ষকরা। কিন্তু এরপরেই তিনি নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ।
সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (SSP) আনন্দ কুমারের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নির্যাতিতা নিজে পুলিশকে এই বিষয়ে জানান। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে, অ্যাম্বুলেন্স চালক বিনয় কুমার এবং টেকনিশিয়ান অজিত কুমারকে দুই ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়।
বোধগয়ার SDPO সৌরভ জয়সওয়ালের নেতৃত্বে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রমাণ সংগ্রহের জন্য অপরাধস্থলে একটি ফরেনসিক টিম পাঠানো হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বোধগয়া থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। এসএসপি আনন্দ কুমার জানান, দ্রুত তদন্ত শেষ হবে এবং শীঘ্রই চার্জশিট দাখিল করা হবে।