Birbhum CPIM Worker Allegedly Killed: রাজ্যে ফের রাজনৈতি হিংসার অভিযোগ উঠল। এবার বীরভূম (Birbhum)-এর নানুর (Nanoor)-এ। সেখানে এক সিপিআইএম (CPIM) কর্মীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ তৃণমূল (TMC)-এর দিকে। তবে তারা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
অভিযোগ, মারধরের পরে ওই আহত সিপিআইএম (CPIM) কর্মীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। বিনা চিকিৎসায় মারা গিয়েছেন তিনি। এমনই অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
বাড়ি থেকে তুলে
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, নানুরে সিপিআইএম (CPIM) কর্মীকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল। মৃতের নামে বাদল শেখ (৫৬)। অভিযোগ, সোমবার সকালে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। লাঠি দিয়ে পেটানো হয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বাড়ির সামনে ফেলা দেওয়া হয়।
নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি হাসপাতালে
পরিবারের অভিযোগ, আহত সিপিআইএম (CPIM) কর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। পরে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এলে ডাক্তারেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করে।
মৃতের পরিবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেও তৃণমূল নেতৃত্ব তা অস্বীকার করেছে। দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা।
নভেম্বর বিপ্লব দিবস পালন করেছিলেন
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার, ৭ নভেম্বর সিপিআইএম (CPIM)-এর তরফে থেকে নভেম্বর দিবস হিসাবে পালন করা হয়ে থাকে। এবারও তাই করা হয়েছিল। রবিবার নানুরের বালিগুনি গ্রামে নভেম্বর দিবস উপলক্ষে সিপিএমের পতকা তোলা হয়।
সেখানে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীর সঙ্গে বাদল শেখও উপস্থিত ছিলেন। মৃতের স্ত্রী জরিনা বিবির অভিযোগ, সোমবার সকালে ১০টা নাগাদ তৃণমূলের লোকজন স্বামীকে ডেকে নিয়ে যায়। তাঁকে লাঠি দিয়ে প্রচন্ড মারধর করা হয়।
তিনি আরও দাবি করেন, পরে তাঁকে বাড়িতে ফেলে দিয়ে যায়। আমরা হাসপাতাল নিয়ে যেতে চাইলে আমাদের বলে দেওয়া হয় হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া যাবে না, বাড়িতেই ফেলে রাখতে হবে। পরে পুলিশ এসে নানুরের হাসপাতালে ভর্তি করে। পতকা তোলার জন্যই এই মারধর করা হয়েছে।
প্রাক্তন বিধায়কের দাবি
নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক শ্যামলী প্রধান বলেন, বাদল শেখ দীর্ঘ দিনের সিপিআইএম (CPIM) কর্মী। রবিবার নভেম্বর দিবস উপলক্ষে বাদলবাবুর বাড়ির পিছনে দলীয় পতকা তোলা হয়েছিল। সেই অপরাধে সোমবার তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এক কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন। সেখানে শুনতে পারেন বাদল শেখকে মারা হয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছেন তিনি। নানুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আপনারা অন্য জায়গায়া নিয়ে যান।
তিনি জানান, পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, তৃণমূল তাঁকে মারধর করেছে। যারা মেরেছে, তাদের শাস্তি দেওয়া হোক। তদন্ত করা হোক। যারা এই কাজ করেছে, তাদের ধরা হোক। দোষীদের শাস্তি হোক, তিনি যে-ই হোক।