বিধানসভা নির্বাচনের আগে দুর্নীতির কালি লাগল রাজ্য বিজেপি শিবিরে। দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হলেন মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ঘনিষ্ঠ লক্ষ্মণ ঘোষ। বিজেপি নেতা গ্রেফতারের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল।
কিন্তু কে এই লক্ষ্মণ ঘোষ?
জানা গিয়েছে, বিজেপি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার কোষাধ্যক্ষ পদে রয়েছেন এই নেতা। মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের পাশাপাশি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের সঙ্গেও যথেষ্ট সখ্যতা রয়েছে লক্ষ্মণের। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি জ্বলজ্বল করছে। যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি bangla.aajtak.in।
বনগাঁ তৃণমূল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের দাবি, 'করোনা মহামারির আগে থেকেই এই ধরনের ছোটো বড়ো বিজেপি নেতারা বাজার থেকে প্রচুর টাকা তুলেছে। অভিযুক্ত লক্ষ্মণ চাকরি দেওয়ার নাম প্রার্থীদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। মোটের উপর বিজেপি দলটাই দুর্নীতিগ্রস্ত এটা তারই জ্বলন্ত প্রমাণ। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপিকে দূর করে দেবে।'
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, "বিজেপি দলের বা বিজেপি পার্টিতে ঘনিষ্ঠ বলে কিছু হয় না। কে, কার সঙ্গে ছবি তুলল এবং কোথায় পোস্ট করল সেটা দেখার দায়িত্ব দলের নয়।"
যদিও এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, "এটা ২০১৮ সালের ঘটনা। আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এটা ওই নেতার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। তাঁর দায় দলের নয়। যদি কোনও ঘটনা ঘটে থাকে আইন আইনের পথে চলবে। তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা প্রশাসন নেবে। এতে আমাদের কিছু বলার নেই। তৃণমূলের যে নেতারা এসব সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছেন তাঁরা আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত।"
২০২৬-এ নির্বাচনের আগে বনগাঁ সংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা দুর্নীতি দায়ে গ্রেফতার হওয়ায় গেরুয়া শিবির বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।