সম্পদ অর্জনের জন্য দুই মহিলাকে বলি (Human Sacrifice) দেওয়া হল। হাড় হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের (Kerala) কোচির একটি প্রত্যন্ত গ্রামে। ঘটনায় অভিযুক্ত এক দম্পতি-সহ তিনজন। অভিযোগ, এই তিনজন মিলে লটারি বিক্রেতা দুই মহিলাকে হত্যা করে, এরপর তাঁদের শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে রান্না করে খায়। পুলিশ জানিয়েছে, আর্থিক সমস্যা মেটাতে, জীবনে সমৃদ্ধি আনতেই পদ্মা (Padma) ও রোজলিন (Roslyn) নামের দুই মহিলাকে বলি দিয়েছে অভিযুক্তরা। নিহতদের শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ টুকরো টুকরো করে বাড়ির উঠোনে পুঁতে রাখা হয়েছিল। কালাজাদুর আচারের অংশ হিসাবে দেওয়াল এবং মেঝেতে রক্ত ছিটানো হয়েছিল।
বুধবার কোচির পুলিশ কমিশনার নাগারাজু চাকিলাম (Kochi City Police Commissioner Nagaraju Chakilam) জানিয়েছেন যে মামলার অন্যতম অভিযুক্ত মহম্মদ শফি এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের মূল ষড়যন্ত্রকারী। তিনি বলেন, 'তদন্তের জানা গিয়েছে যে অভিযুক্তদের একজন মহম্মদ শফি একজন বিকৃত মনের, সে একটি ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত। সে ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করেছিল। আর্থিক সমৃদ্ধির জন্য মানব বলিদান প্রয়োজনীয় বলে বিশ্বাস করানোর জন্য অন্যান্য অভিযুক্তদের সে ফাঁদে ফেলেছিল।'
একটি গর্ত থেকে নিহত পদ্মার দেহাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোজলিনের দেহাংশ বাড়ির পাশে তিনটি গর্ত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ কমিশনার বলেন, 'আমরা নিহত দুই মহিলার মৃতদেহের সব অংশ উদ্ধার করেছি। ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে এবং হত্যাকাণ্ডের বৈজ্ঞানিক তদন্ত করা হবে।' পদ্মা ও রোজলিনকে বলি দেওয়ার পরে অভিযুক্তরা মৃতদেহের কিছু অংশ খেয়ে ফেলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এটি তদন্ত করা হচ্ছে, তবে এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। পুলিশ কমিশনার বলেন, 'ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।'
পুলিশ জানিয়েছে, শফি একজন যৌন শিকারি ও স্যাডিস্ট। সে এই সব থেকে দুঃখজনক আনন্দ লাভ করেছিল। পুলিশ কমিশনার নাগারাজু বলেছেন, শফি ওই পরিবারকে বলি দিতে রাজি করান। এই মামলায় জড়িত দম্পতির আগের অপরাধের ইতিহাস নেই। তিন অভিযুক্তকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪দিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে। হত্যাকাণ্ডের আরও তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।