বিএসএফ হেফাজতে থাকা এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে বিএসএফ-রই এক এসআই-কে গ্রেফতার করল পুলিশ। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে বিএসএফ-র ওই এসআই-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত এসআই-এর নাম রামেশ্বর কয়াল। তাকে ২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদিও তিনি কোনওরকম অন্যায় করেননি বলেই দাবি ওই বিএসএফ কর্তার।
জানা গিয়েছে ওই মহিলা আদতে বাংলাদেশের বাসিন্দা। বাড়ি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া থানার অন্তর্গত কুরপল্লা গ্রামে। গত তিন বছর ধরে গুজরাটের একটি শাড়ির শোরুমে কাজ করছেন তিনি। বুধবার বৈধ পাসপোর্ট বা কোনওরকম কাগজপত্র ছাড়াই দালাল মারফত ভারত থেকে বাংলাদেশে যাচ্ছিলেন। তার জন্য দালালকে তিনি ও তাঁর বান্ধবী মিলে মোট ৩০ হাজার টাকা দেন। কিন্তু খড়ের মাঠ সীমান্ত এলাকায় কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের হাতে ধরা পড়ে যান ওই মহিলা ও তাঁর বান্ধবী। রাতে ক্যাম্পে তাঁকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
ক্যাম্পে ধর্ষণের অভিযোগ মহিলার
মহিলার অভিযোগ, "আমি এবং আমার এক বান্ধবী ভারত থেকে বাংলাদেশে যাওয়ার পথে বিএসএফ-এর হাতে ধরা পড়ি। কিন্তু দালালকে ধরা যায়নি। এরপর খড়ের মাঠ ক্যাম্পে আমাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর রামেশ্বর নামে এক বিএসএফ কর্মকর্তা একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে।" তিনি আরও বলেন, তাঁদের কোনও বৈধ পাসপোর্ট ছিল না। তাই চোরাই পথে তাঁরা বাংলাদেশে যাচ্ছিলেন। তিনি ও তাঁরা বান্ধবী মিলে দালালকে ৩০ হাজার টাকা দেন। তাঁর অভিযোগ, বুধবার রাত এগারোটা নাগাদ তাঁদের বিএসএফ আটক করে এবং বারোটার সময় ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর সেখানেই ঘটে ধর্ষণের ঘটনা।
অভিযোগ মানতে নারাজ ধৃত
মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বিএসএফ আধিকারিককে গ্রেফতার করে গাইঘাটা থানার পুলিশ। এরপর তাঁকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে ২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই বিএসএফ আধিকারিক। তিনি বলেন, "আমি কোন অন্যায় কাজ করিনি। ওঁদেরকে কেবলমাত্র আটক করে নিয়ে এসেছি। ওই মহিলা অভিযোগ করতেই পারেন, কিন্তু আমি কিছু করিনি। তাঁরা কেন অভিযোগ করেছে তা তাঁরাই বলতে পারবেন।" ঘটনায় ইতিমধ্যেই অভিযোগকারিণীর বয়ান রেকর্ড ও তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানান বনগাঁ আদালতের মুখ্য সরকারি আইনজীবী।