এগরার বাজি কারখানার ভয়াবহ বিস্ফোরণ এবং মৃত্যুর ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বিস্ফোরণ। রবিবার রাতে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে বজবজ (Budgebudge blast)। ১৩ বছরের মেয়ে সহ ২ জনের মৃত্যুর ঘটনার খবর পাওয়া গিয়েছে। আজ, সোমবার সকাল থেকেই পুলিশি অভিযান চালানো হয় বেআইনি বাজি কারখানায়। আর তাতেই উদ্ধার করা হয়েছে ২০ হাজার কেজির নিষিদ্ধ বাজি!
ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৩৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এগরার পর বজবজের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের খবর ছড়িয়ে পড়তে রবিবার রাত থেকেই এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল পুলিশ। নেতৃত্বে ছিলেন ডিএসপি (ইন্ডাস্ট্রিয়াল) নিরুপম ঘোষ। শুধু ওই কারখানাটি নয়, মহেশতলা, নুঙ্গি এবং বজবজের একাধিক বন্ধ বাজি কারখানার তালা ভেঙে তল্লাশি চালাতে শুরু করে পুলিশ। তাতেই উদ্ধার হয়েছে এই বিপুল পরিমাণ বাজি। আজ সোমবার ধৃত ৩৪ জনকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে বলে জানা গেছে।
সোমবারের পুলিশি অভিযানে সকাল থেকেই উত্তাপ ছড়িয়েছে এলাকায়। বেশ কয়েক জন স্থানীয় ব্যবসায়ী পুলিশি অভিযানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বাজি সংগঠনের নেতা কানাই দাসের দাবি, অসাবধানতাবশত এই দুর্ঘটনা। সচেতনতার অভাবে ছাদের মধ্যে বাজি রাখা হয়েছিল।
এগরায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য-রাজনীতি। গত মঙ্গলবার এগরার খাদিকুল গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। সেই ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিআইডি।