ফের সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে 'দাদাগিরি'র অভিযোগ। ঘটনাস্থল মালদহ। অভিযোগ, টোটো চালকের কাছে হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। টাকা না দেওয়ায় তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মার খেয়ে গুরুতর জখম হন টোটো চালক সঞ্জয় সাহা। বর্তমানে তিনি মালদহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি আছেন। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের নামে ইতিমধ্যেই কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে ঘটনার পরও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের একাংশের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সঞ্জয় সাহা বৈষ্ণবনগর থানার সব্দলপুর এলাকার বাসিন্দা। প্রতিদিনের মতোই মঙ্গলবার সকালে টোটো নিয়ে বেরিয়েছিলেন। দুবরি মোড়ে যাত্রী নামিয়ে গোলাপগঞ্জ স্ট্যান্ডে কিছু দোকানের মালপত্র নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। ঠিক তখনই গোলাপগঞ্জ স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ৫০ মিটার দূরে এক সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁকে আটকে দেন।
অভিযোগ, প্রথমেই টোটোর চাবি কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর সেই সিভিক ভলান্টিয়ার টোটো চালকের কাছে হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় লাঠি দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। সঞ্জয়ের ডান পা ভেঙে যায়। চোট লাগে তাঁর বাঁ পা ও হাতেও। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় রীতিমতো ক্ষোভ ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সিভিক ভলান্টিয়াররা প্রায়শই রাস্তায় গাড়িচালক ও টোটোচালকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। কেউ প্রতিবাদ করতে এলেই শুরু হয় হেনস্থা বা হুমকি। সঞ্জয় সাহার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
এদিকে, অভিযোগ পাওয়ার পরও পুলিশ নীরব কেন, সেই প্রশ্নও উঠছে। পরিবারের দাবি, থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া হলেও এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
তবে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি অভিযুক্ত ভলান্টিয়ারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
অন্যদিকে, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
মালদহে এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্ন উঠছে, যাঁরা আইন রক্ষার কাজে নিযুক্ত, তাঁদেরই কেউ কেউ যদি এমন আচরণ করেন, তবে সাধারণ মানুষ কোথায় নিরাপত্তা খুঁজবেন?
রিপোর্টার: মিলটন পাল