Civic Volunteer Fake Lottery: জাল লটারি চক্র চালানোর অভিযোগ উঠল সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়াল উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার থানার চিতর কমলাই এলাকায়। পুলিশ ইতিমধ্যে ৪ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম অরূপ সরকার। তাঁর বাড়ি থেকেই বেআইনি জাল লটারির কাজ চলছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ির একটি ঘরে ফিল্মি কায়দায় চলত 'প্রোডাকশান'। সেখানে একাধিক কম্পিউটার ও ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি ঠাসা। সেই সমস্ত মেশিন ব্যবহার করেই চলত এই ভুয়ো লটারি চক্র।
এলাকাবাসীর দাবি, বাড়িতে গত বেশ কয়েকদিন ধরেই অচেনা লোকজনের আনাগোনা ছিল। গ্রাম্য-মফস্বল এলাকায় বাইরের লোক আসলে স্বাভাবিকভাবেই তা স্থানীয়দের চোখে পড়ে। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। আর সেই কারণেই দিনের পর দিন এভাবে অচেনা লোকের আনাগোনায় সন্দেহ জন্মায়। বাড়ির আড়ালে যে রীতিমতো ভুয়ো লটারির কারবার চলছে, সেই খবর কয়েকদিনের মধ্যেই চাউর হয়ে যায়। এরপরেই অরূপ সরকারের বাড়ি ঘিরে শুরু হয় তীব্র বিক্ষোভ। খবর পেয়ে ছুটে আসে ইটাহার থানার পুলিশ।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। তবে ধৃতদের মধ্যে একজনের দাবি, তিনি কিছু জানেন না। কেবল কী হচ্ছে তা দেখতে এসেছিলেন। সেই সময়ই তাঁকে ধরে ফেলা হয়। তবে এই দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।
ঘটনার পরেই একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতেই যদি এইভাবে জাল লটারি চক্র চলতে পারে, তা হলে তাঁর নিজের চাকরিও কি সঠিক পদ্ধতিতে হয়েছে? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে এলাকায়।
স্থানীয়দের মতে, এই ঘটনা কেবল একজনের নয়, এর পেছনে বড় কোনও চক্র কাজ করছে বলেই মনে হচ্ছে। চিতর কমলাই এলাকায় এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি তাঁদের। স্বাভাবিকভাবেই গোটা চিতর কমলাই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনের কাছে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদদাতা: তন্ময় চক্রবর্তী