Advertisement

গুজরাতের স্কুলে সিনিয়রকে খুন ক্লাস নাইনের মুসলিম ছাত্রের, ব্যাপক উত্তেজনা

পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার স্কুলে এসেছিল দুই ছাত্র। তাদের মধ্যে বচসা হয়। ক্লাস নাইনের ছাত্রটি ছুরি দিয়ে আঘাত করে ক্লাস টেনের ছাত্রকে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে ওই স্কুলের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়।

 Ahmedabad School Chaos Ahmedabad School Chaos
Aajtak Bangla
  • আহমেদাবাদ ,
  • 20 Aug 2025,
  • अपडेटेड 1:46 PM IST
  • গুজরাতের আহমেদাবাদের একটি বেসরকারি স্কুলে ছাত্রকে খুন
  • ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা

গুজরাতের আহমেদাবাদের একটি বেসরকারি স্কুলে ছাত্রকে খুন। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা। অভিভাবকরা স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয় পুলিশও। 

পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার স্কুলে এসেছিল দুই ছাত্র। তাদের মধ্যে বচসা হয়। ক্লাস নাইনের ছাত্রটি ছুরি দিয়ে আঘাত করে ক্লাস টেনের ছাত্রকে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে ওই স্কুলের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়াতে থাকে। 

ছুরির আঘাতে যে ছাত্রটি মারা যায় সে সিন্ধি সম্প্রদায়ের। অন্যদিকে অভিযুক্ত কিশোর মুসলিম। এই খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশে থাকা সিন্ধি সম্প্রদায়ের লোকজন স্কুল চত্বরে ভিড় জমায়। দফায় দফায় বিক্ষোভ চলতে থাকে। 

বুধবার সকাল থেকে উত্তেজনা আরও বাড়ে। ঘটনায় রাজনৈতিক রং চড়তেও শুরু করে। ওই ছাত্রের বাবা, মা স্কুল চত্বরে আসেন। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের তরফেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। অভিযোগ, স্কুলের অনেক আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভ বাড়তে থাকায় সেখানে বেশি সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষও হয়। অভিযুক্ত ছাত্রকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। 

এদিকে পুলিশ ও স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জেরে এই ঘটনা। কর্তৃপক্ষকে এই নিয়ে জবাবদিহি করতে হবে। স্কুলের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবিও তোলা হয়েছে। 

বিক্ষোভকারী এক অভিভাবক ঘটনা নিয়ে জানান, আমিষ খাবার নিয়ে দুই ছাত্রের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। ছাত্রের মৃত্যুর পর, সিন্ধি সম্প্রদায়, অভিভাবক, হিন্দু সংগঠন এবং এবিভিপি স্কুলে ভাঙচুর চালায়। বহু পুলিশ মোতায়েন করা হলেও বিক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। 
  

 

Read more!
Advertisement
Advertisement