নিমতায় ভবানীপুরের ব্যবসায়ীকে নির্মম খুনের ঘটনায় মর্মাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শিলিগুড়ির কর্মসূচি কাঁটছাট করে কলকাতা আসেন। তারপরই ব্যবসায়ী ভবিয়া লখানির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান। সঙ্গে ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। বেশ কিছুক্ষণ পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে জানান, "আমি খুব দুঃখিত। যিনি মারা গেছেন তিনি সাদাসিধে মানুষ ছিলেন। মেডিসিনের ব্যবসা করতেন। তাঁর সহ ব্যবসায়ী ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আমার সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই। এরা ক্রিমিনালের থেকেও বড় ক্রিমিনাল। বিনীত গোয়েল বিষয়টি দেখছে।"
বিনীত গোয়েল এদিন বলেন, "পরশু ব্যবসায়ীর পরিবার মিসিং ডায়েরি করতে আসেন। তারপর থেকে তদন্ত চালু হয়। তাদের কন্ট্যাক্টসের মাধ্যমে যার সঙ্গে শেষ কথা হয় তাঁকে থানাতে আনা হয়। সুমন দাস তারপর সব তথ্য দেয়। তারপর অনির্বাণ গুপ্ত খুনের কথা স্বীকার করে। টাকা পয়সার ব্যাপার নিয়ে খুন। তারপর দেহ রেখে পাঁচিল তুলে দেওয়া হয়। ময়নাতদন্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে দু'জনই গ্রেফতার হয়েছে। যদি আর কেউ যুক্ত থাকে তাদেরও গ্রেফতার করা হবে। তদন্ত চলছে। এটি পূর্ব পরিকল্পিত খুন। ভবিয়া লখানি শেয়ার ট্রেডিং করেন, সোমবার কোথাও যান না। তবে সেদিন বেলা ১টা নাগাদ টাকা দেওয়া হবে বলে ডাকা হয়। তারপর খুন।"
মমতা ফের বলেন, "সব তথ্য এখনও বলা যাবে না। ২ জন গ্রেফতার হয়েছে, এদের ক্রিমিনাল ব্রেন। ওনার ছেলে পরীক্ষা দিচ্ছে। আরও এক ছেলে আছে। মা-বউ আছে। পরিবার প্রায় একা হয়ে যাওয়ার মতো। পুলিশ এই বিষয়ে খতিয়ে দেখছে। তাই পুলিশকে কেসটা নিমতা থেকে লালবাজার হোমিসাইডকে দেওয়া হয়েছে।"
বুধবার এই হাড়হিম করা খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে সহ ব্যবসায়ী এই ব্যবসায়ীকে খুনের পর দেহ লোপাট করতে তা জলের ট্যাঙ্কে ফেলে। প্রমাণ লোপাট করতে জলের ট্যাঙ্কে দেহ ঢোকানোর পর মধ্যরাতে ইট দিয়ে গেঁথে ফেলার চেষ্টা চালানো হয়। পাঁচিল তোলার কাজও শুরু হয়। পরে পুলিশ এসে উদ্ধার করে দেহ। কলকাতার ভবানীপুরের বাসিন্দা ভবিয়া লখানি।
মঙ্গলবার গভীর রাতে নিমতা এলাকায় একটি বাড়ির ছাদে জলের ট্যাঙ্কের উপর উঠে কয়েক জনকে ইট গাঁথতে দেখেন স্থানীয়দের একাংশ। সন্দেহ হওয়ায় তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে।