Advertisement

Cyber Crime: দমদমে পুলিশ অফিসারের বাড়ি ভাড়া নিয়ে কী করতেন ১৮ জন মেয়ে? কোটি টাকার রহস্য

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে দমদম এয়ারপোর্টের কাছে দু'নম্বর মতিলাল কলোনির এক বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। বাড়িটির মালিক নিরুপম চ্যাটার্জি, তিনি নিজেই পেশায় পুলিশ অফিসার। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এই বাড়ি ভাড়া নিয়েই চলত সাইবার প্রতারণার কাজ।

Cyber fraud:বড়সড় সাফল্য পুলিশের তদন্তকারীদের।Cyber fraud:বড়সড় সাফল্য পুলিশের তদন্তকারীদের।
স্বপন কুমার মুখার্জি
  • কলকাতা,
  • 11 Feb 2025,
  • अपडेटेड 1:36 PM IST

খাস কলকাতায় কোটি কোটি টাকার সাইবার অপরাধ। ঘটনার তদন্তে নেমে ১৮ জন তরুণী-সহ এক ব্যক্তিকে আটক করল পুলিশ।

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে দমদম এয়ারপোর্টের কাছে দু'নম্বর মতিলাল কলোনির এক বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। বাড়িটির মালিক নিরুপম চ্যাটার্জি, তিনি নিজেই পেশায় পুলিশ অফিসার। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এই বাড়ি ভাড়া নিয়েই চলত সাইবার প্রতারণার কাজ।

পাঁশকুড়া থানার পুলিশ এবং ব্যারাকপুর কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম শাখা যৌথভাবে এই অভিযান চালায়। বাড়ির ছাদের জলের ট্যাঙ্ক থেকে দুটি ব্যাগ ভর্তি মোবাইল এবং প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে। অভিযোগ, অভিযান শুরু হতেই অফিসের কাগজপত্র ছাদে জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়।

কল সেন্টারের ১৮ জন তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, কল সেন্টারের মালিক ঘনশ্যামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এক পুলিশকর্মীর বাড়িতে এমন সাইবার অপরাধের জাল ছড়ানোয় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

কীভাবে কাজ করত প্রতারণা চক্র?

তদন্তকারীদের মতে, এই চক্র মূলত ফোন কল এবং মেসেজের মাধ্যমে প্রতারণা চালাত। ভুয়ো ব্যাঙ্ক কর্মী, কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভ বা সরকারি অফিসার সেজে সাধারণ মানুষকে ফোন করত। তাদের টার্গেট ছিল মূলত বয়স্ক এবং প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ নন, এমন ব্যক্তিরা। ওটিপি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য, এটিএম পিন ইত্যাদি হাতিয়ে নিত তারা। অনেক সময় ভুয়ো লোন, ইনস্যুরেন্স, লটারি জেতার নামেও প্রতারণা চলত।

সাইবার অপরাধ থেকে কীভাবে বাঁচবেন?

সাইবার প্রতারণার ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। তাই সচেতন থাকা জরুরি। কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাবধান বিধি মেনে চললে প্রতারণার ফাঁদ এড়ানো সম্ভব—

  1. ওটিপি বা ব্যাঙ্কের তথ্য কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না – ব্যাঙ্ক বা সরকারি সংস্থার নামে ফোন এলেও গোপন তথ্য দেবেন না।
  2. অপরিচিত লিঙ্কে ক্লিক করবেন না – এসএমএস বা ইমেলের মাধ্যমে অজানা লিঙ্ক পাঠানো হলে সেটিতে ক্লিক না করাই ভালো।
  3. ভুয়ো ফোন কল বুঝতে শিখুন – ব্যাঙ্ক বা সরকারি সংস্থা কখনও ফোন করে কোনও তথ্য চায় না। কেউ এমন করলে নিশ্চিত থাকুন, এটি প্রতারণা।
  4. সন্দেহজনক কিছু দেখলেই রিপোর্ট করুন – সাইবার ক্রাইম বিভাগ বা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান।
  5. অ্যান্টিভাইরাস ও সিকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যবহার করুন – এতে ফিশিং বা ম্যালওয়্যার আক্রমণ এড়ানো সম্ভব।

সাইবার অপরাধীদের ধরতে পুলিশের তৎপরতা বেড়েছে। তবে সাধারণ মানুষেরও সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, যাতে প্রতারকেরা সফল না হয়।

সংবাদদাতাঃ অরিন্দম ভট্টাচার্য

Read more!
Advertisement
Advertisement