Advertisement

প্রেমিকাকে খুন করে ফ্রিজে ঢুকিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে প্রেমিক, দিল্লি খুনের পর্দা ফাঁস

যেন কোনও ক্রাইম ড্রামার সিনেমার সিকোয়েল। দিল্লিতে একই কায়দায় ফের খুন। এবং কারণ হিসেবে উঠে আসছে সেই সম্পর্কর জটিলতা, ত্রিকোণ প্রেম। এবার প্রেমিকাকে খুন করে বসলেন দিল্লির ধাবার মালিক সাহিল গেহলট। শুধু তাই নয়, খুন করার পর প্রেমিকার দেহ ফ্রিজে রাখার ঘণ্টাখানেক পরেই বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডেরও পর্দা ফাঁস হচ্ছে ধীরে ধীরে। কী কারণে প্রেমিকা তথা লিভ-ইন সঙ্গী নিক্কিকে খুন করল তা জেরায় তদন্তকারীদের জানিয়েছে সাহিল।

ফাইল ছবি।ফাইল ছবি।
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 15 Feb 2023,
  • अपडेटेड 12:38 PM IST
  • যেন কোনও ক্রাইম ড্রামার সিনেমার সিকোয়েল।
  • দিল্লিতে একই কায়দায় ফের খুন।

যেন কোনও ক্রাইম ড্রামার সিনেমার সিকোয়েল। দিল্লিতে একই কায়দায় ফের খুন। এবং কারণ হিসেবে উঠে আসছে সেই সম্পর্কর জটিলতা, ত্রিকোণ প্রেম। এবার প্রেমিকাকে খুন করে বসলেন দিল্লির ধাবার মালিক সাহিল গেহলট। শুধু তাই নয়, খুন করার পর প্রেমিকার দেহ ফ্রিজে রাখার ঘণ্টাখানেক পরেই বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডেরও পর্দা ফাঁস হচ্ছে ধীরে ধীরে। কী কারণে প্রেমিকা তথা লিভ-ইন সঙ্গী নিক্কিকে খুন করল তা জেরায় তদন্তকারীদের জানিয়েছে সাহিল।

মঙ্গলবার দিল্লির নজফগড়ের মিত্রাও গ্রামের বাইরে একটি ধাবার ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হয় নিক্কির দেহ। এই ধাবাটি চালাত সাহিলই। তদন্তে নামতেই পুলিশের হাতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য আসছে। জানা গিয়েছে, লিভ ইন সঙ্গীকে খুন করার কয়েক ঘণ্টা পরেই অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করে সাহিল।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারির রাতে সাহিল তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী নিক্কি যাদবকে গলায় মোবাইল চার্জারের তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে। এরপরে তাঁর দেহ ওই ধাবার ফ্রিজে ভরে রাখে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বছর চব্বিশের সাহিলের সঙ্গে ২০১৮ সালে নিক্কির পরিচয় হয়। দিল্লির উত্তম নগর এলাকার একটি কোচিং সেন্টারে তাদের আলাপ। কিছুদিন বন্ধুত্বের পরই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তারা একসঙ্গে থাকা শুরু করে।

আরও পড়ুন

অভিযুক্ত সাহিলের দাবি, নিক্কিকে মেনে নেয়নি তার পরিবার। অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় তার। এ বছর ৯ ও ১০ ফেব্রুয়ারি বিয়ে ও রিসেপশনের দিন ঠিক হয়। এদিকে, সাহিল বিয়ে সম্পর্কে কোনও কথাই নিক্কিকে জানায়নি। কিন্তু অন্য এক বন্ধুর মারফত গোটা বিষয়টি জানতে পারে নিক্কি এবং এই নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া-অশান্তি শুরু হয়।

নিক্কিকে শান্ত করতে সে হিমাচলে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। নিক্কি রাজি হয়। গাড়িতেও দু’জনের ঝগড়া শুরু হয়। সাহিলের বিয়ের খবর নিয়ে সন্দেহ করছিল নিক্কি। তার মুখ বন্ধ করতেই সাহিল গাড়িতে রাখা ডেটা কেবিল নিক্কির গলায় পেঁচিয়ে ধরে। শ্বাসরোধ করে খুন করে তাকে। এরপর মৃতদেহ নিয়ে ফিরে আসে নজফগড়ের ওই ধাবায় এবং সেখানে ধাবার ফ্রিজে নিক্কির দেহ লুকিয়ে রেখে আসে। বাড়ি ফিরে পরিকল্পনা মাফিকই অন্য এক যুবতীকে বিয়ে করে সে।

Advertisement

Read more!
Advertisement
Advertisement