গুরুগ্রামের মডেল দিব্যা পাহুজার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৫-সদস্যের NDRF টিম মৃতদেহের সন্ধানে পাতিয়ালায় পৌঁছেছিল। গুরুগ্রাম এবং পাঞ্জাব পুলিশের সঙ্গে এনডিআরএফ দল পাতিয়ালা থেকে খানৌরি সীমান্ত পর্যন্ত খালে মৃতদেহের সন্ধান করছিল। কিন্তু দিব্যা পাহুজার মৃতদেহ হরিয়ানার তোহানা খাল থেকে উদ্ধার করা হয়। খাল থেকে মৃতদেহটি সরানোর পর পুলিশ দিব্যার পরিবারের সদস্যদের কাছে এর একটি ছবি পাঠায়, যা দেখে তাঁরা মৃতদেহটিকে শনাক্ত করে। গুরুগ্রাম ক্রাইম ব্রাঞ্চের ছটি দল দেহের সন্ধানে ব্যস্ত ছিল।
২ জানুয়ারি দিব্যাকে গুরুগ্রামের সিটি পয়েন্ট হোটেলের ১১১ নম্বর রুমে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। এই ঘটনাটি ঘটিয়েছেন হোটেল মালিক অভিজিৎ সিং। এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেফতার বলরাজ নামে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দিব্যা পাহুজার মৃতদেহ উদ্ধারে সফল হয়েছে হরিয়ানা পুলিশ। বলরাজ নিজেই পুলিশকে বলেছিলেন যে, তিনি দিব্যার দেহ হরিয়ানার তোহানা খালে ফেলে দিয়েছিলেন। দিব্যা পাহুজা হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত অভিজিৎ সিং তার দোসর বলরাজ গিলকে মৃতদেহ নিষ্পত্তির দায়িত্ব দিয়েছিলেন। বলরাজের নির্দেশে দিব্যার দেহ উদ্ধার হয়।
বলরাজ দেশ ছেড়ে ব্যাংককে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। তাঁকে এবং রবি বঙ্গকে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। বলরাজ গিল তার বস অভিজিতের বিএমডব্লিউ গাড়ির ট্রাঙ্কে দিব্যার দেহ রেখেছিলেন এবং তা নিষ্পত্তি করতে বেরিয়েছিলেন। এ কাজে তাঁকে সহযোগিতা করছিলেন রবি বঙ্গ। অভিজিৎ সিং তার হোটেলের দুই স্টাফ সদস্যের সাথে দিব্যার দেহ একটি কম্বলে মুড়ে তার বিএমডব্লিউ গাড়ির ট্রাঙ্কে রেখেছিলেন। তারপর গাড়ির চাবি বলরাজের হাতে তুলে দেন এবং মৃতদেহ ফেলে দিতে বলেন। এই কাজের জন্য অভিজিৎ তাকে ১০ লাখ টাকাও দিয়েছিলেন।
গুরুগ্রাম ক্রাইম ব্রাঞ্চ এই হত্যা মামলায় ৬ অভিযুক্তের নাম দিয়েছে, যার মধ্যে প্রধান অভিযুক্ত অভিজিৎ সিং, হেমরাজ, ওম প্রকাশ, মেঘা, বলরাজ গিল এবং রবি বঙ্গের নাম রয়েছে। তাদের সবাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিব্যা পাহুজা (২৭) গুরুগ্রামের বলদেব নগরের বাসিন্দা। তাঁর ছোট বোন নয়না আজতকের সঙ্গে একটি বিশেষ কথোপকথনে বলেছিলেন যে, দিব্যার সঙ্গে তার শেষ কথোপকথন হয়েছিল ২ জানুয়ারী দুপুর ১২টার দিকে। দিব্যা বলেছিলেন যে, তিনি আধঘন্টার মধ্যে বাড়িতে পৌঁছে যাবেন, কিন্তু সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত যখন তিনি ফিরে আসেননি, তখন পরিবার সন্দেহ করেছিল যে খারাপ কিছু ঘটেছে। নয়নার অভিযোগে গুরুগ্রামের সেক্টর-১৪ থানায় খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।