
দুর্গাপুরে ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণে চার্জশিট পেশ। ঘটনার ২০ দিনের মাথায় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। শুক্রবার এই মামলার শুনানিও রয়েছে। চার্জশিট অনুযায়ী, ধর্ষণে নির্যাতিতার সহপাঠি ওয়াসিফ আলিই মূল অভিযুক্ত।
বাকি পাঁচ জন অপু বাউরি, শেখ নাসিরউদ্দিন, শেখ ফিরদৌস, শেখ রিয়াজউদ্দিন এবং শফিক শেখ — গণধর্ষণ, জুলুম, ডাকাতি, অপহরণ এবং মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ সম্পর্কিত একাধিক অভিযোগে চার্জশিট জমা পড়েছে। বিএনএসের ১৮টি ভিন্ন ধারায় ছয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা যাচ্ছে, শীঘ্রই বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। আগামী দু'মাসের মধ্যে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করার কথা জানানো হয়।
সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায়ের তরফে জানা হয়, ১৮টি সেকশনে চার্জশিট দেওয়া হয়। সমস্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। সহপাঠিই মূল অভিযুক্ত। বাকিদের জড়িত থাকায় সকলের বিরুদ্ধেই গণধর্ষণের মামলা হয়েছে। তাড়াতাড়ি যাতে ট্রায়াল শুরু ও শেষ করা হয় তা দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ওড়িশার বাসিন্দা দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়ার সঙ্গে ঘটনার রাতে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়েছিলেন এই সহপাঠীই। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের অভিযোগ, ঘটনার সময়ে নির্যাতিতাকে অভিযুক্তদের কাছে ফেলে পালিয়ে আসেন ওই সহপাঠী। কেন তিনি এমনটা করেছিলেন, সেদিন রাতে ঠিক কী কী দেখেছিলেন, সবটাই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। ছাত্রীর উপর যৌন লালসা চরিতার্থ করার পর অভিযুক্ত ধর্ষকরা নির্যাতিতার ফোন থেকেই সহপাঠীকে ঘটনাস্থলে কল করে ডেকে পাঠায় নির্যাতিতার দেওয়ার ঘটনার রাতের বয়ানের সঙ্গেও মিলিয়ে দেখা হয় সহপাঠীর বয়ান। ঘটনার পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণরূপে ভিডিওগ্রাফি করা হয়। বাকি তদন্ত চলছে। ২০ দিন পর জমা পড়ল চার্জশিট।