দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে তদন্ত করছে রাজ্য পুলিশ। তবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই তদন্ত চান নির্যাতিতার বাবা। তাঁর দাবি, সিবিআই তদন্ত করলে আরও ভালো হত। মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই কথা জানালেন তিনি।
এই কাণ্ডে ইতিমধ্যেই শেখ রেয়াজউদ্দিন, অপু বাউড়ি, ফিরদৌস শেখ, নাসিরউদ্দিন, সফিক শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বয়ানও নেওয়া হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দ্রুত গতিতে তদন্ত চলছে। তবে ওড়িশার বাসিন্দা দুর্গাপুরের ওই মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রীর বাবা জানান, পুলিশ ভালো তদন্ত করছেন বলে শুনেছেন। কিন্তু সিবিআই তদন্তভার হাতে নিলে আরও ভালো হত।
তিনি বলেন, 'আমার মেয়ে এখন স্থিতিশীল। চিকিৎসকরা আমাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেননি। তবে শুনেছি ওর অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আমার মেয়ে এখানে আর লেখাপড়া করতে চায় না। আমাদেরও আর ইচ্ছে নেই। আমি ওড়িশা মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার মেয়েকে তাঁরা যেন ভালো কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেন, সেই অনুরোধ করেছি। তাঁরা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। আমার মেয়ের পাশেও রয়েছেন।'
অভিযুক্তদের গ্রেফতারি নিয়ে নির্যাতিতার বাবা বলেন, 'তদন্ত ভালো চলছে বলেই মনে হচ্ছে। তবে সিবিআই তদন্ত হলে আরও ভালো হত। তবে দেষীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে।'
এদিকে মঙ্গলবারই দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডের পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। অভিযুক্তদের নিয়ে যাওয়া হয় ঘটনাস্থলে। ধৃতদের মধ্যে দু'জনকে তাদের বাড়িও নিয়ে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি পূর্ব অভিষেক গুপ্তা জানান, পাঁচজন অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার পোশাক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ পুনর্নির্মাণের ভিডিয়োগ্রাফি হয়েছে ৷