নেতাজিনগরে উদ্ধার বৃদ্ধের রক্তাক্ত দেহ। মৃতের নাম আশুতোষ দাস। প্রাসাদোপম চারতলা বাড়িতে একাই থাকতেন। শুক্রবার তাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
পুলিশ সূত্রে খবর, আশুতোষবাবুর এক সময় প্রিন্টিংয়ের বড় ব্যবসা ছিল। তবে বর্তমানে বয়সের কারণে তিনি অবসর নিয়েছিলেন। বাড়িতেই থাকতেন। তাঁর ছেলে থাকেন দিল্লিতে আর মেয়ে অস্ট্রেলিয়ায়। আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশেষ মেলামেশা করতেন না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি
প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, আশুতোষ দাস কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক ছিলেন। সোমবার সকালে বাড়ির কাছে থাকা এক আত্মীয় এসে বৃদ্ধের খোঁজখবর নিতে যান। তখনই প্রতিবেশীদের থেকে জানতে পারেন, কয়েক দিন ধরে আশুতোষবাবুকে কেউ দেখেননি।
প্রতিবেশীরা দরজার কাছে গিয়ে টের পান অস্বাভাবিক গন্ধ বেরোচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে নেতাজিনগর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরিবারের এক আত্মীয়ের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে পুলিশ।
বাড়ির সিঁড়ির কাছেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় আশুতোষবাবুকে। এরপরই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা বলছেন, বৃদ্ধ একাই থাকতেন। বাড়ির সব কাজ নিজেই করতেন। এমনকি কোনও কাজের লোকও ছিল না।
প্রতিবেশীরা বলছেন, কয়েক বছর আগেই আশুতোষবাবুর স্ত্রী প্রয়াত হয়েছেন। তারপর থেকেই তিনি একা থাকতেন। এই মৃত্যু ঘিরে ঘোর রহস্য তৈরি হচ্ছে।
পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। বৃদ্ধ সম্পূর্ণ একা থাকায় এবং বিপুল সম্পত্তি থাকায়, সম্ভাব্য সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে নেতাজিনগরে রহস্যজনক মৃত্যু হয় নিঃসন্তান বৃদ্ধ দম্পতির। নেতাজিনগরের অশোকা অ্যাভিনিউয়ের একটি বাড়ি থেকে বৃদ্ধ দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ।