আলিপুরদুয়ারে বিদ্যুৎ দফতরে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা আদায়ের অভিযোগ। ঘটনার জেরে পুলিশের দ্বারস্থ আলিপুরদুয়ার জেলা বিদ্যুৎ দফতরের ডিভিশনাল ম্যানেজার দীপেন খাওয়াস। এরপরেই বিষয়টি নিয়ে জেলাজুড়ে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশি।
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন থেকেই রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের লোগো লাগান জাল নিয়োগপত্র নিয়ে আলিপুরদুয়ারের বিদ্যুৎ দফতরে আসছেন চাকুরি প্রার্থীরা। কিন্তু সেগুলি ভুয়ো বলার পরেও অন্যান্য চাকুরি প্রার্থীরা আবারও সেই একই ধরনের নিয়োগপত্র নিয়ে আসছেন। অবশেষে এবার পুলিশের দ্বারস্থ জেলা বিদ্যুত দফতরের ডিভিশনাল ম্যানেজার দীপেন খাওয়াস।
এই বিষয়ে দীপেনবাবু বলেন, "পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি। জাল নিয়োগ পত্র বিলি হয়েছে। এই বিষয়ে আর কিছু বলব না।" জানা গিয়েছে আলিপুরদুয়ার শহরের অজিত কুমার দাস নামে এক যুবক মোটা টাকার বিনিময়ে বিদ্যুৎ দফতরের লোগো লাগানো নিয়োগপত্র পান। কিন্তু বিদ্যুৎ দফতরে খোজ নিয়ে জানতে পারেন যে এই নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। পরে যাঁর মাধ্যমে তিনি ওই নিয়োগ পত্র পেয়েছিলেন তাঁকে টাকা ফেরতের জন্য চাপ দেন। সুদীপ ঘোষ নামে আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকার ওই বাসিন্দা টাকা ফেরতও দিয়ে দেন।
সুদীপ ঘোষ বলেন, "শিলিগুড়ির এক ব্যাক্তির মারফত আমি নিজে কাজে যোগ দিতে চেয়েছিলাম। পরে অন্য একটি কাজে যোগ দেওয়ায় আমি আর বিদ্যুৎ দফতরে যোগ দিইনি। বিষয়টি জাল চক্র জেনে আমি ওই ব্যাক্তির টাকা ফেরত দিয়ে দিয়েছি। আমি এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত নই।" জানা গিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়াতে এক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাল নিয়োগের এই চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বেশ কয়েকজনকে এই ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে মোটা টাকাও তোলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।