Advertisement

একটা পাসপোর্ট ১ লাখ টাকা! হরিদেবপুরে ধৃত জাল পাসপোর্ট চক্রের পাণ্ডা

বাড়িতে অন্তত ৮৬টি পাসপোর্ট। এক একটি  পাসপোর্টের দাম লাখ টাকা। এই করে প্রায় ২ কোটি টাকা আয় করেছিল। কিন্তু অবশেষে পড়ত হরল পুলিশের জালে। হরিদেবপুর থেকে গ্রেফতার করা হল আন্তর্জাতিক জাল পাসপোর্ট চক্রের পাণ্ডাকে। ধৃতের নাম নন্দ কিশোর প্রসাদ।

গ্রেফতারগ্রেফতার
তপন কুমার নস্কর
  • কলকাতা ,
  • 07 Aug 2021,
  • अपडेटेड 12:51 PM IST
  • একটা পাসপোর্টের দাম ১ লাখ টাকা
  • হরিদেবপুরে ধৃত জাল পাসপোর্ট চক্রের পাণ্ডা
  • গ্রেফতার করা হল আন্তর্জাতিক জাল পাসপোর্ট চক্রের পাণ্ডাকে

বাড়িতে অন্তত ৮৬টি পাসপোর্ট। এক একটি  পাসপোর্টের দাম লাখ টাকা। এই করে প্রায় ২ কোটি টাকা আয় করেছিল। কিন্তু অবশেষে পড়ত হরল পুলিশের জালে। হরিদেবপুর থেকে গ্রেফতার করা হল আন্তর্জাতিক জাল পাসপোর্ট চক্রের পাণ্ডাকে। ধৃতের নাম নন্দ কিশোর প্রসাদ। বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানতেন না বলে দাবি করেছেন তার স্ত্রী।

হরিদেবপুর থানা এলাকার নিউ স্পোর্টিং ক্লাব অঞ্চল থেকে গ্রেফতার করা হয়  তাকে। দিল্লি পুলিশ ও হরিদেবপুর থানার যৌথ অভিযানে হরিদেবপুর মহাত্মা গান্ধী রোডের শিবানী আবাসন থেকে গ্রেফতার করা হয় নন্দ কিশোর প্রসাদ নামে ওই ব্যক্তিকে। স্থানীয় সূত্রে খবর,  ২০২১ সালের জুলাই মাসে ১৭ তারিখ বাড়ি ভাড়া নেয় নন্দ কিশোর ও তার গর্ভবতী স্ত্রী। পুলিশ সূত্রে খবর, তার থেকে অন্তত ৮৬ টি আন্তর্জাতিক পাসপোর্ট পাওয়া গেছে। এই পাসপোর্ট এক একটি ১ লক্ষ টাকা মূল্যে বিক্রি করত সে। এই ব্যবসায় প্রায় ২ কোটি টাকা উপার্জন ও করেছিল ধৃত। ক্যামেরার সামনে অভিযুক্তের স্ত্রী জানান, তাঁর স্বামী যে এই পেশায় যুক্ত ছিলেন, তা তিনি জানতেন না। দেড় বছরের সম্পর্কে তাদের বিয়ে হয়। 

জানা গিয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে পাসপোর্ট বানিয়ে দেবে বলে যোগাযোগ করত অভিযুক্ত। পরে টাকা নিয়ে ভুয়ো পাসপোর্ট ধরিয়ে চম্পট দিত। একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে  নন্দুকিশোর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জানতে পারে সম্প্রতি হরিদেবপুরে এসে উঠেছে। দিল্লি পুলিশ ও স্থানীয় থানা একসঙ্গে অভিযান চালায়। তখনই নন্দকিশোর ধরা পড়ে। ধৃতকে জেরা করে এই চক্রে আরও কেউ আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে। জানা গিয়েছে, এক এক পাসপোর্ট ১ লাখ টাকায় বিক্রি করত সে। এমন করেই কোটিপতি হয়ে গিয়েছিল। সম্ভবত দিল্লি নিয়েও যাওয়া হতে পারে নন্দ কিশোরকে। 

আরও পড়ুন

Advertisement
Read more!
Advertisement
Advertisement