উত্তরপ্রদেশের পুলিশ শিলিগুড়িতে?
শিলিগুড়িতে ধৃত ভুয়া ইউপি পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হল ধারালো অস্ত্র। গাড়ি সহ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করলো শিলিগুড়ি পুলিশ। তাদের কোনও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকা বা যোগসাজশ থাকার ব্যপারে স্থির সিদ্ধান্ত পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত।
পুলিশি রুটিন নাকা তল্লাশিতে সন্দেহভাজন আটক
বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ির শালবাড়ি এলাকায় লকডাউন বিধি সুরক্ষায় রুটিন নাকা তল্লাশি চলছিল। সেখানেই সন্দেহভাজনদের আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পোশাক পড়েছিল। তাতেই সন্দেহ ঘনীভূত হয়। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলায়, তাদের আটক করে প্রধাননগর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
ধৃতদের নাম ও পরিচয়
পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের নাম সরতাজ আলি, মহম্মদ মেহতাব ও হরিওম পান্ডে। তিনজনই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। ধৃত তিনজনকে আজ শুক্রবার শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে।
ধৃতদের কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত
ধৃতদের কাছ থেকে একটি লাক্সারি এসইউভি গাড়ি, কিছু ধারালো অস্ত্র গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্র কেন তার সদুত্তর দিতে পারেনি ধৃতরা।
ধৃতদের দাবি
ধৃতরা যে পুলিশ নয়, তা তারা কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদের পরই স্বীকার করেছে। তাদের দাবি তারা টোল গেটে টাকা দিতে না হওয়ার জন্য পুলিশের পোশাক পড়েছিল। শুধু টোলের ৫০ টাকার জন্য কেউ এ কাজ করতে পারে বলে পুলিশ বিশ্বাস করেনি। তারা কড়া জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
পুলিশের দাবি
শিলিগুড়ি পুলিশের ডিসি পশ্চিম কুঁয়র ভূষণ সিং এখনই তদন্ত বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে তিনি জানান, তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত গোটা বিষয়টির পিছনে কি রহস্য রয়েছে, তা জানা যাবে।
ঘটনার বিবরণ
শিলিগুড়ি পুলিশের প্রধাননগর থানার একটি দল শালবাড়িতে একটি বেসরকারি কলেজের সামনে রুটিন ডিউটি করছিলেন। করোনা পরিস্থিতিতে কারা কোথায় যাচ্ছে, অযথা ঘোরাঘুরি করছে কি না, তা দেখা হচ্ছে। সে সময় একটি গাড়িতে তিনজনকে দেখে পুলিশ কর্মীরা। গাড়িতে একজনের গায়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পোশাক ছিল। কিন্তু বাইরের রাজ্য তদন্তে এলে সঙ্গে উঁচু পদ মর্যাদার কোনও অফিসার থাকা আবশ্যিক। তাতেই খটকা লাগে। তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজেও জড়তা ধরা পড়ে পুলিশের পাকা চোখে। গাড়ি থেকে নামিয়ে দু-চারটি প্রশ্ন করতেই তারা খেই হারিয়ে ফেলে। স্বীকার করে তারা পুলিশ নয়। টোল প্লাজায় টাকা দেওয়া থেকে বাঁচতে এ কাজ করেছিল। তবে সঙ্গে অস্ত্র কেন তার সদুত্তর দিতে পারেনি।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, তার কোনও ডাকাতি বা অন্য কোনও সুপারি কিলিং জাতীয় কিছুর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। সঙ্গে অস্ত্র থাকায় যাতে পুলিশ তল্লাশি না করে তাই তাড়াতাড়ি পুলিশের পোশাক চাপিয়ে নেয়। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে ধৃতদের কোনও পুরনো অপরাধের রেকর্ড আছে কি না জানতে।