
হরিয়ানার গুরুগ্রামে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। একাদশ শ্রেণির এক ছাত্র তার বাবার লাইসেন্সড পিস্তল দিয়ে সহপাঠীকে গুলি করেছে। পুলিশ ওই নাবালককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। বর্তমানে বিষয়টির তদন্ত চলছে।
গুরুগ্রাম পুলিশ খবর পেয়েছিল, সেক্টর ৪৮-এ একটি ছেলেকে গুলি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আহত ছাত্রের পরিবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তদন্তের জন্য অপরাধস্থল, FSL, ফিঙ্গারপ্রিন্ট টিম এবং স্টেশন ম্যানেজারকে ডাকা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর সহপাঠী তার বাবার লাইসেন্সড পিস্তল দিয়ে গুলি চালায়। এই মারাত্মক হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই নাবালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচটি তাজা রাউন্ড গুলি এবং একটি খালি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, ঘরের ভিতরে একটি বাক্সে একটি ম্যাগাজিন এবং ৬৫টি তাজা রাউন্ড গুলি পাওয়া গেছে।
আহত ছেলেটির মা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, যেখানে তিনি জানান, তাঁর ছেলে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে। তার এক স্কুল বন্ধু ফোন করে তার সঙ্গে দেখা করতে বলে, কিন্তু সে রাজি হয়নি। তার বন্ধু জানায়, 'আমি তোমাকে নিতে আসছি।' এরপর ছেলেটি খেরকি দৌলা টোল প্লাজায় যায়, যেখানে তার বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়।
শনিবার রাতে সেক্টর ৪৮-এ এই ঘটনা ঘটে। তদন্তকারীরা জানিয়েছে, এক অভিযুক্তের বাবার লাইসেন্সড পিস্তল দিয়ে গুলি চালানো হয়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, পুরেনো কোনও ঝামেলা ছিল ওই তিন জনের। তা থেকেই এই ঘটনা। প্রায় দুই মাস আগে, ঝগড়া হয়, এরপরেই ওই নাবালক বন্ধুর সঙ্গে মিলে আরেক সহপাঠীর উদ্দেশ্যে গুলি করে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ একটি মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ দুই নাবালককে গ্রেফতার করে।
নাবালকদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানা যায় যে, এই তিন বন্ধু একই স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। দুই মাস আগে, অভিযুক্তের সঙ্গে আক্রান্তের ঝগড়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, নয়ডার সেক্টর ৪৮-এর ঘটনা। নিহত ছাত্রের মায়ের অভিযোগ, শনিবার রাতে তাঁর পুত্র বাড়িতে ছিল। এক কিশোর এসে তাঁর পুত্রকে ডেকে নিয়ে যায়। প্রথমে যেতে চাইছিল না সে। জোরাজুরি করে ওই সহপাঠী। তার পর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই সহপাঠীর বাড়িতে আগে থেকেই আরও এক ছাত্র হাজির ছিল। সহপাঠীর বাড়িতে কিশোর ঢুকতেই তাকে বাবার লাইসেন্সড পিস্তল থেকে গুলি করে এক ছাত্র। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, কিশোরের সঙ্গে অভিযুক্ত ছাত্রের বেশ কিছু দিন আগে ঝামেলা হয়েছিল। গুলির আওয়াজ শুনে পড়শিরা বেরিয়ে আসেন। তখন তাঁরা কিশোরকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। পড়শিরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনার পর গুরুগ্রাম পুলিশ আমজনতাকে তাদের সন্তানদের নাগালের বাইরে লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্র রাখার আহ্বান জানিয়েছে।