উত্তরপ্রদেশের গোবরা জেলাতে নাবালিকা কিশোরীর লাশ মেলায় হৃদকম্প তৈরি হয়ে গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ এবং মৃতদেহ পোস্ট মর্টেমের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে। লাশের ওপর কোনও রকম কাপড় ছিল না বলে জানা গিয়েছে। যা দেখে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে দুষ্কর্মের পরে ওই নাবালিকা কিশোরীর হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্তদের খোঁজ লাগিয়ে তাদের আখের ক্ষেত থেকে গ্রেপ্তার করেছে।
শৌচকর্মে বেরিয়ে ফিরে আসেনি
নিজেদের বাঁচানোর জন্য অভিযুক্তরা পুলিশের টিমের ফায়ারিং করে। কিন্তু পুলিশ হামলা করলে এক অভিযুক্ত জখম হয়ে যায়। চিকিৎসার জন্য তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। যখন যেখানে অন্য অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এই মামলার জেলার নবাবগঞ্জ থানা এলাকার মৃত দলিত সমাজের বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় হত বিহবল অবস্থা ওই কিশোরীর পরিজনের। পুলিশকে জানিয়েছে শুক্রবার রাতে প্রায় আটটা নাগাদ শৌচ কার্য জন্য ঘর থেকে বেরিয়ে ছিল ওই কিশোরী তারপর থেকে সে আর ঘরে ফেরেনি।
১৭ বছরের নাবালিকা হত্যা
কিশোরীর বাবা জানিয়েছে যে তার ১৭ বছরের মেয়ে ঘর থেকে শৌচের জন্যে বেরিয়েছিল। তারপর অনেক রাত পর্যন্ত সে না ফেরায় তারা খোঁজার চেষ্টা করে। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে তার মেয়েকে অর্ধনগ্ন ১০০ মিটার দূরে ইউক্যালিপটাসের ঝোপের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে
পুলিশের বক্তব্য নবাবগঞ্জ থানার অন্তর্গত প্রসাদপুর এলাকাতেই নাবালিকার সব পাওয়ার খবর পাওয়ার পরেই তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে তাদের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলেছে। কিছু ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ তাদের কাছে পৌঁছায় এবং কারাভোগ চান্দের একটি আখের ক্ষেত থেকে অভিযুক্তদের লুকিয়ে থাকার খবর পাওয়া যায়। পুলিশ সেখানে গেলে অভিযুক্তরা পাল্টা গুলি চালায়। এরপর পুলিশের পাল্টা আক্রমণ হলে তাদের মধ্যে একজন আহত হন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে অন্যদের খোঁজা হচ্ছে।