হরিদেবপুরে যুবক খুনের ঘটনায় (Haridebpur Murder Case) ক্রমেই উঠে আসছে ক্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক। জানা যাচ্ছে, বান্ধবী ছাড়াও, বান্ধবীর মায়ের সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্ক ছিল নিহত অয়ন মণ্ডলের (Ayan Mondal)। সূত্রের খবর, ত্রিকোণ সম্পর্কের জেরেই খুন (Ayan Mondal Murder) হয়ে থাকতে পারেন অয়ন। অয়নের এক বন্ধু জানিয়েছেন যে বান্ধবীর মায়ের সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল অয়নের। আর এই সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেন অয়নের বান্ধবীর বাবা। আর সেই কারণেই ডেকে এনে তাঁকে খুন করা হয়। প্রমাণ লোপাটে দেহ মগরাহাটে (Magrahat) ফেলে আসা হয়।
এদিকে, এই ঘটনায় আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল অয়নের বান্ধবী, বান্ধবীর মা এবং বান্ধবীর ভাইকে। এ বার গ্রেফতার করা হল বান্ধবীর বাবা, বান্ধবীর ভাইয়ের এক বন্ধু ও এক পণ্যবাহী গাড়ির চালককে। খুনে জড়িত থাকার সন্দেহে ওই গাড়ি চালককে প্রথমে আটক করা হয়েছিল। টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবারই তাঁদের আদালতে তোলা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজোর বিজয়াদশমীর রাতে অয়নকে খুন করা হয়। বান্ধবীর হরিদেবপুরের নতুনপল্লির বাড়িতে কোনও ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে তাঁকে খুন করা হয়। খুনের পর দেহ সরিয়ে ফেলতে গাড়ি ভাড়া করা হয়। প্রথমে গাড়ি চালককে জিনিসপত্র এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ডাকা হয়। মৃতদেহ তোলা হচ্ছে বুঝতে পেরে চালক গাড়ি চালাতে অস্বীকার করেন। যদিও পরে টাকার প্রলোভনে রাজি হয়ে যান। তদন্তে জানা গিয়েছে, দশমীর রাতে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করবেন বলেই বাড়ি থেকে বেরেয়িছিলেন অয়ন। তারপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরে মগরাহাট থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তেজিত জনতা অয়নের বান্ধবীর হরিদেবপুরের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। হরিদেবপুর থানাতেও চলে বিক্ষোভ। আজ অয়নের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাবে পুলিশ। ঠিক কীভাবে খুন করা হয়েছিল অয়নকে, তা জানা যেতে পারে।