Siliguri School Teacher Arrested: জুন মাসের মাঝামাঝি শিলিগুড়ির প্রধাননগর থানার দাগাপুর এলাকার একটি রিসর্টে হানা দিয়ে মধুচক্র চালানোর অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ঘটনায় বিহারের দুই যুবক গ্রেপ্তার হয়। সেই তদন্তে একের পর এক নাম উঠে আসে। মাঝে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বাগডোগরার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এই কাজে যুক্ত রয়েছে। সেইমতো তার বিরুদ্ধে তথ্য জোগাড় শুরু করে প্রধাননগর থানার পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্তের মাটিগাড়ায় একটি স্পা রয়েছে। ওই স্পার ব্যবসার আড়ালেই সে শহরের ওপরমহলের লোকজনের কাছে মহিলাদের জোগান দিত। জেলার অনেক বড় সরকারি আধিকারিকের সঙ্গেও এই ব্যক্তির যোগাযোগ রয়েছে।
জানা গিয়েছে ওই শিক্ষক শিলিগুড়ির বহু বড় ব্যবসায়ী এবং সরকারি আধিকারিকদের কাছে স্থানীয় ও ভিনরাজ্যের তরুণী পাঠাতো। সেই অভিযোগেই মঙ্গলবার রাতে বাগডোগরা এলাকার বাসিন্দা নিমা লামা নামে ওই প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) এবং প্রধাননগর থানার পুলিশ যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত বাগডোগরা সরস্বতী হিন্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত। তাকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তুলে সাতদিনের হেপাজতে নিয়েছে পুলিশ।
শিলিগুড়ির দাগাপুরের কাছে একটি রিসর্টে মধুচক্র মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে মানব পাচার ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। শিলিগুড়ি পুলিশের এডিসি শুভেন্দ্র কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক শহরে মানব পাচারের একাধিক ঘটনায় যুক্ত বলে মনে হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’
কিছুদিন আগে একই মামলায় স্যান্ডি নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। ওই স্যান্ডির মাধ্যমেই সমস্ত কাজ চালাত ওই স্কুল শিক্ষক। শহরের মাটিগাড়ার একটি শপিং মলের পাশাপাশি ওই মলের পাশের উপনগরী, শহরের বড় বড় হোটেলেও মহিলাদের জোগান দিত অভিযুক্ত। এর বাইরে তার জমির দালালির ব্যবসাও ছিল বলে জানা গিয়েছে।