Digital Arrest: প্রায় ১৭ হাজারেরও WhatsApp অ্য়াকাউন্ট ব্লক করল কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্রের খবর, এই অ্যাকাউন্টগুলির বেশিরভাগই কম্বোডিয়া, মায়ানমার, লাওস ওবং থাইল্যান্ডে ট্রেস করা হয়েছে। সম্ভবত সেখান থেকেই সাইবার জালিয়াতির কাজকর্ম চালানো হত।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সাইবার ক্রাইম কো অর্ডিনেশন সেন্টার এই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টগুলি ব্যান করেছে। বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই অ্যাকাউন্টগুলি ব্যান করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সেই অভিযোগের রিভিউ করে তারপপরেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রথমেই খতিয়ে সন্দেহজনক অ্যাকাউন্টগুলি চিহ্নিত করা হয়। তারপর হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষকে সেই অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডের তদন্তে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর বিষয় উঠে আসে। দেখা যায়, কম্বোডিয়া, মায়ানমার এবং লাওসের বিভিন্ন ভুয়ো কল সেন্টার থেকে ভারতীয়দের উপর প্রতারণা চালানো হচ্ছে।
তদন্তে আরও জানা যায়, মানব পাচারকারীরা এই ফ্রড কলের মাধ্যমে ভারতীদের বিদেশে, কম্বোডিয়ায় মোটা বেতনে ভাল চাকরির টোপ দিচ্ছে। তারপর এর মাধ্যমে অনলাইন আর্থিক প্রতারণা এবং সাইবার অপরাধের জাল ফেলছে। অনেকেই এর শিকার হয়েছেন। খুইয়েছেন লক্ষাধিক টাকা।
আবার দিন-দিন 'ডিজিটাল অ্যারেস্টে'র ঘটনাও বাড়ছে। এই ডিজিটাল অ্যারেস্ট কী? প্রতারকরা ফোন করে নিজেদের এক্সাইজ বা অন্য কোনও সরকারি দফতরের আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দিচ্ছে। তারপর বলা হচ্ছে, 'আপনার নামে একটি পার্সেল আছে। তাতে মাদক মিলেছে।' এতে যিনি ফোন পাচ্ছেন, তিনি হকচকিয়ে যান। তারপর সেই ব্যক্তি ফোনে 'কেস তুলে নেওয়ার' বিনিময়ে লক্ষ-লক্ষ টাকা দাবি করছেন।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও জনসাধারণের উদ্দেশে এমন প্রতারণার ঘটনা বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি এমন যে কোনও ঘটনা ঘটলে সেটা সাইবার হেল্পলাইনে দ্রুত জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাইবার উইং জানিয়েছে, প্রতারকরা এভাবে ডিজিটাল ফ্রডের মাধ্যমে এক-এক দিনেই প্রায় ৬ কোটি টাকারও বেশি টাকা কামাচ্ছে। অনুমান, চলতি বছরের প্রথম ১০ মাসেই(অক্টোবর পর্যন্ত) এভাবে স্ক্যামাররা প্রায় ২,১৪০ কোটি টাকার প্রতারণা করেছে। ফলে সমস্যাটা যে কতটা বড়, তাই নিয়ে নতুন করে আর বলার কিছুই নেই।