Advertisement

চকোলেটের লোভ দেখিয়ে শিশুকে নিয়ে চম্পট দেওরের! মাথায় হাত হাওড়ার বধূর

পারিবারিক অশান্তি। আর তার জেরে ৩ বছরের বাচ্চা জোর করে দিল্লিতে আটকে রাখার অভিযোগ হাওড়ার গৃহবধূর। ২০১৬ সালে তাঁর বিয়ে হয়। দিল্লিতে শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ। এর পরেই ওই বধূ নিজের বাচ্চাকে নিয়ে বাপের বাড়ি ফিরে আসেন। অভিযোগ, সেখান থেকে তাঁর দেওর ফের ওই বাচ্চাকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে আটকে রেখেছে।

সিমরণ দে বংশী
বৈদ্য়নাথ ঝা
  • হাওড়া,
  • 22 Jan 2022,
  • अपडेटेड 4:16 PM IST
  • চকোলেটের লোভ দেখিয়ে বাচ্চাকে নিয়ে চম্পট দেওরের
  • মাথায় হাত হাওড়ার বধূর
  • জানুন বিস্তারিত তথ্য

পারিবারিক অশান্তি। আর তার জেরে ৩ বছরের বাচ্চা জোর করে দিল্লিতে আটকে রাখার অভিযোগ হাওড়ার গৃহবধূর। ২০১৬ সালে তাঁর বিয়ে হয়। দিল্লিতে শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচার করা হত বলে অভিযোগ। এর পরেই ওই বধূ নিজের বাচ্চাকে নিয়ে বাপের বাড়ি ফিরে আসেন। অভিযোগ, সেখান থেকে তাঁর দেওর ফের ওই বাচ্চাকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে আটকে রেখেছে। পুলিশের কাছে গিয়েও বাচ্চাকে ফিরে পাননি বলে অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা। শেষে বিধায়কের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।

ঠিক কী অভিযোগ

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালে। দিল্লি নিবাসী আগরওয়াল পরিবারে বিয়ে হয় হাওড়ার মালিপাঁচঘড়া থানা এলাকার বাসিন্দা সিমরণ দে বংশীর। বিয়ের পরে সে দিল্লিতে তার শ্বশুরবাড়িতে যায়। পরিবারের অভিযোগ, সেখানে তাঁর উপরে অকথ্য অত্যাচার করা হত। বিয়ের ছবিও পুড়িয়ে দেওয়া হয় সিমরণের চোখের সামনে। এরপরে ওই বধূ বাচ্চাকে নিয়ে তাঁর বাপের বাড়িতে ফেরত চলে আসে। তারপর থেকেই তাঁকে বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করা হতো বলে অভিযোগ সিমরণের পরিবারের তরফে। তবে এভাবে স্বামী তাঁর কাছ থেকে বাচ্ছাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেন নি। ঘটনার লিখিত অভিযোগ করা হয় মালিপাঁচঘড়া থানায়। তবে পুলিশ বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেই অভিযোগ পরিবারের তরফ থেকে।

কী অভিযোগ মহিলার

 সিমরণের মামা এদিন তাঁকে নিয়ে স্থানীয় বিধায়কের কাছে নিয়ে আসে। তাঁদের সাহায্যের প্রার্থনা জানায়। ঘটনা প্রসঙ্গে সিমরণের মামা সঞ্জয় সাউ বলেন ২০১৬ সালে তাঁর ভাগ্নির বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরেই তার স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন বোঝা যায়। তারপর থেকেই তাঁর ভাগ্নির উপরে অত্যাচার চালু হয়। দু বছর আগে তাঁর ভাগ্নিকে ফেরত নিয়ে আসেন তিনি। তারপর থেকেই বিভিন্নভাবে তাকে উত্যক্ত করতে থাকে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। আর দুদিন আগে হঠাৎ করে সিমরণের দেওর সিমরণের বাড়িতে এসে একরাত্রি থাকে। তার বাচ্চাকে চকলেট খাওয়ানোর ছুতোয় দিল্লি নিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি অভিযোগ করে জানান পুলিশকে জানানোর পরেও কাজ না হওয়াতে আজকে উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরীকে বিষয়টি জানান। তারপরেই থানা থেকে তাদেরকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

পুলিশের দ্বারস্থ ওই মহিলা

ওই শিশুর মা সিমরণ দে বংশী দাবি করেন, তাঁর সঙ্গে দুবার তার ছেলের কথা হয়েছে।  পরনের পোশাক অব্দি বদল করেনি তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। তাকে নিয়মিত খেতেও দিচ্ছে না তারা। এই পরিস্থিতিতে তিনি তার বাচ্চাকে ফেরত পেতে চান। এই ঘটনা তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পরিকল্পনা করেই করেছেন বলেই দাবি করেন তিনি। ঘটনার পর থেকে তার পরিবারের লোকেরা যথেষ্ট চিন্তিত হয়ে আছেন। কিভাবে তার বাচ্ছাকে তিনি ফেরত পাবেন তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না তারা।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement