একটা খুনের মামলা সমাধান করতে পারলে কত টাকা পাওয়া যেতে পারে ? কোনও ধারণা আছে ? সাধারণ চিন্তাভাবনায় কোনও আইডিয়া করা মুশকিল। কিন্তু ২০ বছর ধরে একটি খুনের মামলা সমাধান করতে না পেরে পুরস্কার মূল্য বাড়াতে বাড়াতে ১৮ কোটি টাকা করা হয়েছে।
সবচেয়ে দামি মার্ডার কেস
আমেরিকার এক উকিলের হত্যাকাণ্ডের মামলা কুড়ি বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। এই দুই দশকে পুরনো মামলা নিয়ে ২.৫ মিলিয়ন ডলার বা ১৮ কোটি টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। উকিলের মার্ডার রহস্য সামাধানে যে বা যিনি সাহায্য করবেন, তাকে ১৮ কোটি টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। যা সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে বেশি টাকা মূল্যের মার্ডার কেস সলভের পুরস্কার।
পুরস্কার মূল্য বাড়ছেই
রাশি প্রকৃতপক্ষে হওয়া ফেডারেল ইনভেস্টিগেটরস (Federal Investigators) ও অভিযোজক-এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুই দশক পুরনো কেসের সমাধান করতে পারেননি। তারা ফেডারেল ইনভেস্টিগেটরস। তারাই এ দিন ১৮ কোটি টাকা পুরস্কারের মূল্য ঘোষণা করেছেন। আগে এটির পুরস্কার মূল্য বলা হয়েছিল ১১ কোটি টাকা। যত দিন যাচ্ছে তত তার পুরস্কার মূল্য বাড়ছে।
২০০১ সালে গুলি চালিয়ে খুন
ডেইলি মেইলের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী ৪৯ বছরের থমাস ওয়েলসকে ১১ অক্টোবর ২০০১ এ তার ঘরেই অজ্ঞাতপরিচয় শুটার semi-automatic হ্যান্ডগান থেকে গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করে। ২০০১ সালে হওয়া এই হত্যাকাণ্ডের এখনো পর্যন্ত কোনও সূত্র পাওয়া যায়নি। যার পর থেকে হত্যাকাণ্ডের মামলায় সমাধান করে দিতে পারবে তাকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ওয়াশিংটনের পশ্চিম জেলার ইউএসএস ব্রাউন এই পুরস্কার মূল্যের কথা বাড়ানোর ঘোষণা করেছেন। যার মধ্যে বিভাগের দুই মিলিয়ন ডলার এবং পূর্ব আমেরিকা অ্যাটর্নি ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অতিরিক্ত ৫ লক্ষ ডলার দেবে বলে জানানো হয়েছে।
তদন্ত চলছেই, কেস ওপেন
ফক্স ১৩ৃএর খবর অনুযায়ী ব্রাউন সমারোহে জানিয়েছেন, এই অপরাধের জন্য ২০ বছর অনেক বেশি। আমেরিকান ন্যায় প্রণালীতে এই মামলা এখনো আনসল্ভড। তিনি জানিয়েছেন যদিও দুই দশক পার হয়ে গিয়েছে, কিন্তু ন্যায় বিভাগ এখনও পর্যন্ত তার তদন্তে কোনরকম ঢিলেমি করেনি। ব্রাউন, মার্ডার কেসের ৬ নম্বর উকিল। এর আগে আরও পাঁচজনকে ছিলেন যারা কেসের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছেন।
কেন খুন, জানতে মরিয়া আইনজীবীরা
তিনি জানিয়েছেন, যে মামলা নতুন দৃষ্টিভঙ্গিতে তদন্ত করা উচিত। কেউ যদি এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছু জানেন, তাহলে আমরা তাকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি। খবর অনুযায়ী ওয়েলস একজন পাইলটের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। যার বিরুদ্ধে ড্রাগ চোরাচালানে যুক্ত থাকার অভিযোগ ছিল। এটাও তার ওপর হামলার একটা কারণ হতে পারে। কিন্তু সত্যিই কি তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।