রাজ্যে ফের আয়কর দফতরের তল্লাশি। বুধবার সকালে সল্টলেকের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রথমে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি তাদের। পরে অবশ্য বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। তল্লাশিও শুরু হয়। বাড়ির গেটে মোতায়েন করা হয়েছে সিআরপিএফ জওয়ানদের। স্থানীয়দের দাবি, ওই ব্যবসায়ীর নাম বিজন হালদার। তারা প্রায় ১৫ বছর ধরে সেখানে রয়েছেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ওই পরিবারের তেমন কোনও যোগাযোগ নেই। ঠিক কোন অভিযোগ এই তল্লাশি সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, গরু ও কয়লা পাচারে এর আগে রাজ্য জুড়ে একাধিক বার তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন, কয়লা-গরুপাচার, CBI-এর পর এবার ED-র হানা রাজ্যের ১৫ জায়গায়
ইডির তল্লাশি
সোমবারই ইডির ১৫টি দল কলকাতা এবং জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে তল্লাশি চালায়। বিধাননগরের অফিস থেকে ১৫টি দল তল্লাশি অভিযান চালায়। তাদের মধ্যে একটি দল কলকাতার বাঙুরের গণেশ বাগারিয়া নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে পৌঁছে যান। বাগারিয়া এনার্জি অ্যাগ্রো গ্রুপ প্রাইভেট লিমিটেডের কর্ণধার। তার সঙ্গে অনুপ মাঝির যোগাযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ। দিনভর কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। কোন্নগরের কানাইপুর শান্ত্রী নগর এলাকায় ইডি হানা চালায়। সোমবার সকালে নীরজ সিং ও অমিত সিংয়ের বাড়িতে হানা দেয় ইডি।
রাজ্যজুড়ে তল্লাশি
অবৈধ কয়লা খনি এবং গরু পাচারের অভিযোগে সিবিআই বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যে তল্লাশি করেছে। কলকাতা এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তারা তল্লাশি চালিয়েছে। কয়লাকাণ্ডে যুক্ত অন্যতম অভিযুক্তের নাম অনুপ মাঝি। তার বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। গরু পাচার কাণ্ডের তদন্ত করেতে নেমে ইতিমধ্যে সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে এনামুল হক নামে এক ব্যক্তিকে। এর পাশাপাশি সিবিআই হানা দিয়েছিল বিএসএফের কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারের বাড়িতে। পরে গ্রেফতারও করা হয় সতীশ কুমারকে।