আজতক বাংলা-র খবরের জের
অপরাধের সেফ করিডর শিলিগুড়ি। কয়েক দিন আগেই 'আজতক বাংলা'-য় প্রকাশিত হয়েছিল শিলিগুড়ির অপরাধের খতিয়ান। তারপরই নড়েচড়ে বসেছে শিলিগুড়ি পুলিশ। বছরের পর বছর ধরে শিলিগুড়িকে কেন্দ্র করে চলছে চোরাচালান ও পাচার। এতদিন ধরে অভিযোগ থাকলেও থানা ভিত্তিক প্রক্রিয়ার বাইরে তেমন উদ্যোগ ছিল না।
নতুন পুলিশ কমিশনারের উদ্যোগ
অবশেষে নড়েচড়ে বসল পুলিশ। শিলিগুড়ি করিডরকে নজরে রাখতে তৈরি হল স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ বা এসওজি। শিলিগুড়িতে যোগ দেওয়ার পরই নতুন পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ চালু করলেন কলকাতা পুলিশের কায়দায়। তিনি এর আগে শিলিগুড়িতে কাজ করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে ২০১০ সালে। তখন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট হয়নি। ফলে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের এলাকা তাঁর সবটাই চেনা। ফলে নতুন দায়িত্ব নিয়েই সক্রিয় গৌরব শর্মা।
এসওজির কাঠামো
একটি পৃথক দল গঠন করা হয়েছে। যে দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন শিলিগুড়ি পুলিশের বিভিন্ন থানা থেকে বেছে নেওয়া অফিসাররা। বিভিন্ন ধরনের ঘটনার যেগুলোর কোন সূত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সেগুলি করতে বিশেষ কাজ করবে এই দলটি। মাদক পাচার, চোরাচালান সহ সমস্ত রকমের অপরাধমূলক তদন্তে গতি আনতে খাটবে এই গ্রুপটি। দলে ইন্সপেক্টর সাব-ইন্সপেক্টর, অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর, কনস্টেবল পদাধিকারীরা থাকবেন। তাদের মনিটর করবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার ও ডেপুটি পুলিশ কমিশনার। সবার উপরে থাকবেন কমিশনার নিজেই।
কীভাবে কাজ করবে এই দলটি
শিলিগুড়ি পুলিশের একাধিক গোয়েন্দা বিভাগ অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করবে দলটি। আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও অন্য রাজ্যের সীমানায় বিশেষ নজরদারি করবে দলটি। সমস্ত থানার প্রতিনিধি থাকায় আন্তঃ থানা যোগাযোগ আরও সুদৃঢ় হবে। বিভিন্ন থানার তদন্তে যে সব মামলার ফাইল পিছনের সারিতে চলে যাবে, কিংবা দীর্ঘদিন তদন্তেও হদিশ মিলবে না, সেগুলি চিহ্নিত করে তার উপর কাজ করবে এসওজি। পাশাপাশি আন্তঃরাজ্য পুলিশের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করে নিয়মিত তথ্য আদান প্রদান করবে দলটি। এখন কতটা সাফল্য পায় এই এসওজি কিংবা কমিশনার বদলি হয়ে গেলে তা সমানভাবে কাজ করে কি না, তা দেখার।