Advertisement

কারা বানিয়েছিল গুদামঘর? কালিয়াচক-কাণ্ডের হবে পুনর্নির্মাণ

কালিয়াচকে এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আসিফ ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করত। সে অসাধারণ মেধার এক ব্যক্তি মনে করছে পুলিশ। পুলিশকে লাগাতার সে জেরার সময় ঘোল খাওয়ানোর চেষ্টা করছে।

মালদার খুনের পুনর্নির্মাণ করা হবে। সোমবার জানিয়েছে পুলিশ (প্রতীকী ছবি)
মিল্টন পাল
  • কালিয়াচক,
  • 21 Jun 2021,
  • अपडेटेड 4:59 PM IST
  • মালদার খুনের পুনর্নির্মাণ করা হবে
  • সোমবার এ কথা জানিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া
  • তিনি বলেন,মালদার কালিয়াচকে এক পরিবারের চার সদস্যকে খুনের ঘটনায় করা হবে পুনর্নির্মাণ

মালদার কালিয়াচক (Kaliachak)-এর খুনের পুনর্নির্মাণ করা হবে। সোমবার এ কথা জানিয়েছেন মালদার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া। তিনি বলেন,মালদার কালিয়াচকে এক পরিবারের চার সদস্যকে খুনের ঘটনায় করা হবে পুনর্নির্মাণ। ভার্চুয়াল ওয়ালেটের খোঁজ শুরু হয়েছে।

কালিয়াচক (Kaliachak)-এ এই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত আসিফ ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করত। সে অসাধারণ মেধার এক ব্যক্তি মনে করছে পুলিশ। পুলিশকে লাগাতার সে জেরার সময় ঘোল খাওয়ানোর চেষ্টা করছে।

সে প্রচুর ইলেকট্রনিক্স গেজেট ব্যবহার করত। ডার্ক ওয়েবে সে মাস্টারমাইন্ড ছিল। কালিয়াচক (Kaliachak)-এর ঘটনায় অনেকদিন পর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় ভিসেরা পরীক্ষা করেছে পুলিশ। পাশাপাশি যা দিয়ে গোপনে মাদক মিশিয়ে খাওয়ানো হয়েছিল, সেটি ও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

কালিয়াচক (Kaliachak)-এর খুনের ঘটনা আসিফ একাই করেছিল। প্রাথমিক তদন্তে এটাই উঠে এসেছে। তার ভাই তাকে যমের মত ভয় পেত। ইতিমধ্যেই সিআইডি এই ঘটনার খোঁজখবর শুরু করেছে।

দুই ব্যক্তি কোনও ব্যক্তি দ্বারা প্রভাবিত কিনা, তা-ও খোঁজ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। এমন ঘটনা ঘটানোর মস্তিষ্ক সাধারণ মানুষের মস্তিষ্ক নয় মনে করছে পুলিশ।

পাশাপাশি কালিয়াচক (Kaliachak)-এ যে গুদামঘরে মৃতদেহগুলি রাখা ছিল, সেই গুদামঘর এমন করে বানানো হয়েছিল, যাতে সচরাচর নজরে না আসে। যারা এই গুদামঘর নির্মাণের কাজে যুক্ত ছিল, তাদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

তার দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে যে অস্ত্র পাওয়া গেছে সেগুলি কোথা থেকে এসেছে সেটি নিয়ে পৃথক তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

মালদার কালিয়াচক (Kaliachak)-এ চার জনকে খুনের ঘটনায় মুল অভিযুক্ত ধৃত আসিফ মহন্মদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রচুর পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার। আসিফ মহম্মদের দুই বন্ধুর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। আর তারপর বিপলু পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 

পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, আসিফের দুই বন্ধুর নাম নাম মহন্মদ মাফুজ এবং সাবির আলি। উল্লেখ্য, ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি পানীয়ের সঙ্গে নেশার ওষুধ মিশিয়ে মহন্মদ আসিফ পরিবারের চার সদস্যকে মেরে ফেলেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

তাঁদের নাম আলেক নুর বেওয়া (৭২), ইরা বিবি (৩৬), রিমা খাতুন (১৬) এবং জাওয়াদ আলি (৫৩)। মহম্মদ আসিফ এলাকায় হান্নান বলে পরিচিত। সে স্থানীয় স্কুলের দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। এরপর থেকে সে বাড়িতেই থাকত।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement