কর্ণাটকের হুব্বালিতে ধর্ষণের চেষ্টার পর পাঁচ বছরের এক শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত রীতেশ কুমার, বিহারের বাসিন্দা। তাকে গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয়। এরপরে এনকাউন্টারে তার মৃত্যু হয়।
অভিযোগ, রীতেশ মেয়েটিকে একটি ছাউনিতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়েটির চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছাউনিতে ছুটে আসে। এই সময় অভিযুক্তরা মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, মেয়েটি তার বাড়ির সামনে খেলছিল। সেই সময়েই অভিযুক্ত ব্যক্তি তাকে তুলে নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে খুনে অভিযোগে এবং পুলিশ কর্মীদের উপর আক্রমণ ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হুব্বালির পুলিশ কমিশনার শশী কুমার বলেন, রীতেশকে তার বাড়ি থেকে ধরতে গেলে প্রথমে সে পুলিশকে পাথর ছুঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাকে চেপে ধরে কিছু প্রশ্ন করা হচ্ছিল। কিন্তু সেই সময়েও সে হঠাৎ পালানোর চেষ্টা করে।
'দ্রুত প্রতিক্রিয়ায়, আমাদের মহিলা অফিসার, সাব-ইন্সপেক্টর, অন্নপূর্ণা, ভয় দেখাতে শূন্যে গুলি ছোঁড়েন। তাতেও অভিযুক্ত থামেনি। তখন তাকে লক্ষ্য করে দুই থেকে তিন রাউন্ড গুলি চালানো হয়। একটি গুলি তার পায়ে লাগে এবং আরেকটি তার পিঠে লাগে। এরপর সে আর পালাতে পারেনি। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন,' জানান তিনি।
হামলায় একজন সাব-ইন্সপেক্টর এবং আরও দুই পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ রীতেশকে জিজ্ঞাসাবাদের জানতে পারে সে আদতে পাটনার বাসিন্দা এবং ৩৫ বছর বয়সী। অপরাধ স্বীকার করেছিল বলে দাবি পুলিশের।
পুলিশ আরও জানিয়েছে যে রীতেশ প্রায় তিন মাস ধরে হুব্বালিতে ছিল। বেশ কয়েক বছর ধরে বাড়ির বাইরে থাকত। যেখানেই সুযোগ পায় সেখানেই কাজ করত। শহরে নির্মাণ সাইট এবং হোটেলে কাজ করত।
'আমরা বর্তমানে বিষয়টির আরও তদন্ত করছি। তার বাড়ি এবং পরিবার সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য পাটনায় একটি দল পাঠিয়েছি', পুলিশ জানিয়েছে।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর, খুনের ঘটনায় ক্ষুব্ধ বেশ কয়েকজন থানার সামনে জড়ো হয়ে ন্যায়বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।