কসবার আইন কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে। এই প্রথম নয়, আগেও অশ্লীল ভিডিও তুলে অন্য ছাত্রীদের তা দিয়ে ব্ল্যাকমেল করত মনোজিৎ ও তার সঙ্গীরা। জানতে পারলেন সিটের তদন্তকারীরা। এই অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে অভিযুক্ত ও কলেজের অনেককেই।
তদন্তের অগ্রগতির জন্য রবিবারই সিটের সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়। প্রথমে দলে ছিলেন ৫ জন। পরে আরও ৪ জনকে এই দলের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। লালবাজার সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে একাধিক শাখা-প্রশাখার খবর মিলেছে। সেই জট কাটাতেই সিট-টিমকে আরও বড় করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার প্রমিত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটের বাড়িতে সিট তল্লাশি চালায়। অন্য দুই অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র ও জাইব আহমেদের বাড়িতেও এক দফা তল্লাশি চলে।
পুলিশ সূত্রে খবর, তিন অভিযুক্ত ধরা পড়ার পর দাবি করে তারা ধর্ষণ চলাকালীন ২ মিনিটের ২টো ভিডিও তোলে। তবে তদন্তকারীরা এই দাবিতে সন্তুষ্ট নন। তাঁরা মনে করছেন, অভিযুক্তরা ধর্ষণের আগেও নির্যাতিতাকে বিবস্ত্র করার ও নিগ্রহের ভিডিও মোবাইল বন্দি করে। সেই ভিডিও উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে আরও খবর, অভিযুক্তরা যখনও কোনও অশ্লীল ভিডিও তুলে রাখত তা কোনও পেন ড্রাইভে কপি করত। ঘটনার দিনের ভিডিও পেন ড্রাইভে রেখেছিল তারা। সেই পেন ড্রাইভের খোঁজেই তিন অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। তদন্তে জানা গেছে, ঘটনার দিনের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার একটি গ্রুপে শেয়ার করা হয়েছিল। সেই গ্রুপে মনোজিৎ ঘনিষ্ঠ কয়েকজন রয়েছে। সেই গ্রুপের বাইরে অন্য কোথাও ভিডিও ছড়ানো হয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, কলেজের মেয়েদের অশ্লীল ভিডিও তোলা মনোজিতের হবি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সে কলেজ ছাত্রীদের ভিডিও তুলে তাদের বিয়ের প্রস্তাব দিত ও ব্ল্যাক মেল করত। সেদিন মেয়েটিকে হেনস্থার আগে রীতিমতো পরিকল্পনা করেছিল মনোজিৎ। সঙ্গে নিয়েছিল প্রমিত ও জইবকে। তাদের মধ্যে কী কী কথা হয়েছিল, সেই পরিকল্পনার অংশ আরও কেউ ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।