কেরলে হাড়হিম করা ঘটনা। নিজের কাকা-কাকিমা ও প্রেমিকা-সহ ৫ জনকে খুন করল মাত্র ২৩ বছরের এক যুবক। তারপর সে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে। খুনের কথা কবুল করে। সঙ্গে এও জানায়, সে সবাইকে খুন করার পর নিজেকে শেষ করে দেওয়ার জন্য বিষ খেয়েছে। পুলিশের তরফে সেই যুবককে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধেবেলা আফান নামে ওই যুবক তিনটি পৃথক পৃথক জায়গায় গিয়ে খুন করার চেষ্টা করে ৬ জনকে। ৫ জন মারা যান। যুবকের মা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মৃত্য়ুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ তদন্তে নেমে পড়ে। ৫ জনের দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদর মধ্যে রয়েছে আফানের ছোটো ভাই আহসান, ঠাকুমা সালমা, কাকা লতিফ, কাকিমা শাহিহা এবং তার প্রেমিকা ফারসানা।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, আফান প্রথমে তার মায়ের উপর হামলা চালায়। মা মারা গেছে ভেবে বাড়ির দরজা বাইরে থেকে তালা বন্ধ করে চলে যায় সেখান থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে এক গ্রামে। সেই গ্রামে থাকত ঠাকুমা। তার মাথায় হাতুড়ির আঘাত মেরে খুন করে। সেখান থেকে চলে যায় আরও ১০ কিলোমিটার দূরে কাকা ও কামিকার বাড়ি। তাঁদেরও হাতুড়ির আঘাতে খুন করে।
এখানেই না থেমে এবার আফান যায় তার প্রেমিকার বাড়ি। তাঁকে মোটর বাইকে নিজের বাড়িতে আনা। তারপর খুন করে। সেখানে আগে থেকেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল তার মা। বান্ধবীকে খুনের পর ছোটো ভাইয়ের বাড়ি ফেরার অপেক্ষা করতে থাকে আততায়ী। কিছুক্ষণ পর বাড়িতে ফেরে ১৩ বছরের কিশোর। তখন তাকেও হত্যা করে আফান। এরপর থানায় গিয়ে নিজের দোষ স্বীকার করে।
এই ঘটনা নিয়ে সাউথ জোনের পুলিশ আধিকারিক শ্যাম সুন্দর জানান, কেন ওই যুবক খুন করল তা এখনও পরিষ্কার নয়। সে জানিয়েছে, অর্থনৈতিক অসুবিধার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সব দিক খতিয়ে দেখা হবে। আপাতত অভিযুক্ত হাসপাতালে ভর্তি। সুস্থ হওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
কেরল পুলিশের আইজি বলেন, 'সবাইকে হাতুড়ি দিয়ে খুন করা হয়েছে। ঘাতক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।'