Konnagar Mu*der Case: মাস চারেক আগে কোন্নগরে বিশেষভাবে সক্ষম এক তরুণীর উপর নির্যাতন ও খুনের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুর আদালতে সুবিচারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তিন মাসের মধ্যেই ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু এতদিন পরও মামলার অগ্রগতির বিষয়ে পরিবার কিছুই জানেন না বলে দাবি করছেন। এমনকি তাঁদের হয়ে কোন আইনজীবী লড়ছেন, সেটুকুও স্পষ্ট নয় বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।
ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছরের ২৭ মে। অভিযোগ, কোন্নগর কানাইপুর কলোনিতে প্রতিবেশী যুবকের হাতে নির্মম নির্যাতনের শিকার হন ওই তরুণী। এরপর খুন করে তাঁর দেহ কলাবাগানে ফেলে দেওয়া হয়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতারও করা হয়। এমনকি সে আদালতে নিজের অপরাধ স্বীকারও করে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সেসময় নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে তিনি নিজে মামলাটি লড়বেন। আদালতেও একদিন তাঁদের হয়ে হাজির হয়েছিলেন।
কিন্তু চার মাস কেটে যাওয়ার পর মৃতার পরিবারের দাবি, মামলার অগ্রগতি বা আইনজীবীর ভূমিকা সম্পর্কে তাঁদের কাছে কোনও আপডেট নেই। আদালতের চত্বরে দাঁড়িয়ে তাঁদের ক্ষোভ, 'চার মাস হয়ে গেল। এখনও বিচার পাইনি। তিন মাসে ন্যায়বিচার পাওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। এখন আমরা জানিও না আমাদের হয়ে কে মামলা লড়ছেন।'
অন্যদিকে, অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেন, 'এই ধরনের মামলায় তিন মাসে বিচার হওয়া সম্ভব নয়। এখানে ৪২ জন সাক্ষী রয়েছে। সময় লাগবেই। সাংসদ শুধু গিমিক দিয়েছিলেন।'
সংবাদদাতা: রাহি হালদার