কুমোরটুলি ঘাটে সাতসকালে হাড়হিম করা ঘটনা(Kolkata Crime News)। মা-মেয়ের ট্রলি ব্য়াগ থেকে বের হল বৃদ্ধার টুকরো করা দেহ। স্থানীয়দের তৎপরতায় দেহ গঙ্গায়(Kumortuli Ghat) ফেলার আগেই হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় দুই মহিলা। মঙ্গলবার বিকেলে সেই বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন মনোজ ভার্মা। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ঠিক কী কী জানা যাচ্ছে? যা বললেন নগরপাল,
১. সকাল ৭-৮ টা নাগাদ পুলিশের কাছে খবর আসে। স্থানীয়রা জানান, কুমোরটুলি ঘাটে কেউ ব্যাগে দেহ ফেলার চেষ্টা করছে। সেই মতো পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
২. দুই ধৃতের নাম ফাল্গুনী ঘোষ আর আরতি ঘোষ। অন্যদিকে ব্যাগে এক বৃদ্ধার দেহ ছিল। তাঁর নাম সুমিতা ঘোষ বলে জানা গিয়েছে। তিনি সম্পর্কে ফাল্গুনী ঘোষের পিসি শাশুড়ি। আরতি ঘোষের ননদ। এই সুমিতা ঘোষের বাড়ি আদতে অসমে। তবে তিনি মধ্যমগ্রামে ফাল্গুনী-আরতিদের বাড়িতে এসে ছিলেন।
৩. প্রাথমিকভাবে মধ্যমগ্রাম এলাকায় পুলিশ তদন্ত করেছে। সেখানকার বাড়িতেই গত সন্ধ্যায় ফাল্গুনী-আরতির সঙ্গে সুমিতার বচসা হয়। এরপরেই সুমিতাকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তবে কীভাবে খুন, দেহ লোপাটের পদ্ধতি ইত্যাদি নিয়ে এখনই বলা যাচ্ছে না। দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ। খুনের পিছনে মোটিভ কি, সেটিও এখনও স্পষ্ট নয়।
৪. দুই মহিলার কাছ থেকে কাজীপাড়ার টিকিট মিলেছিল। সেটি শিয়ালদা-হাসনাবাদ লাইনে পড়ে। তবে ট্রেনে করেই দেহবন্দি ব্যাগ আনা হয়েছে কিনা সেই বিষয়টি স্পষ্ট নয়। তদন্তের পর তা জানা যাবে। তবে রাস্তায় ট্রাফিকের সিসিটিভি ফুটেজে সাদা ডিজায়ার ট্যাক্সিতে মা-মেয়েকে যেতে দেখা গিয়েছে।
৫. প্রথমে প্রিন্সেপ ঘাটে দেহ ফেলতে যাওয়া হয়েছিল। তারপর সেখান থেকে চলে আসা হয় কুমোরটুলি ঘাটে।
সব মিলিয়ে এদিন নগরপাল জানালেন, পুরো বিষয়টির পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হচ্ছে। কীভাবে খুন, কোথা থেকে ব্যাগে করে দেহ আনা হল, তার রহস্যভেদে আরও তদন্ত প্রয়োজন বলে জানালেন তিনি।
তবে খুনের তদন্তভার কি কলকাতা পুলিশের হাতে থাকবে? পুলিশ কমিশনার জানালেন, প্রাথমিক পর্যায়ে কলকাতা পুলিশ তদন্ত করবে। পরে পরিস্থিতি, তদন্তের গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী, যেহেতু মধ্যমগ্রামের ঘটনা, তাই সংশ্লিষ্ট থানাকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।