উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউতে দুই যুবককে খুন। ছুরি দিয়ে তাদের খুন করে পুলিশের এক কনস্টেবল ও তাঁর স্ত্রী। অভিযুক্ত দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, প্রেমঘটিত কারণে এই হত্যা
মূল অভিযুক্তের নাম মহেন্দ্র কুমার। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের একজন কনস্টেবল তিনি। বর্তমানে লখিমপুর জেলায় কর্মরত। ২০১৮ সালে তাঁর সঙ্গে দীপিকা নামের একজনের বিয়ে হয়। এদিকে দীপিকা বিয়ের আগে থেকেই মনোজ নামে এক যুবককে ভালোবাসত। বিয়ের পরও তারা সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। এদিকে দীপিকার পরকীয়ার কথা জানতে পারে মহেন্দ্র। সে দীপিকাকে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে বললেও শোনেনি দীপিকা।
এই নিয়ে মহেন্দ্র ও দীপিকার মধ্যে প্রায় অশান্তি হত। মহেন্দ্র তার স্ত্রী-কে ডিভোর্স দিতে চায়। কিন্তু দীপিকা স্বামীকে ছাড়তে চায়নি। তখন মহেন্দ্র ঠিক করে মনোজকে ডেকে সব মিটমিট করে নেবে। সেই পরিকল্পনা মতো স্ত্রী-র প্রেমিককে ডাকে সে। মনোজ তার এক বন্ধুকে নিয়ে আসে।
তবে তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, মহেন্দ্র আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিল। মহেন্দ্র ও তার বন্ধু আসা মাত্র সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। তাতে দুইজনই মারা যায়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ও ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থল থেকে একজনের গলা কাটা ও অপরজনের কব্জি কাটা দেহ উদ্ধার হয়।
ঘটনার প্রতিবাদে মরদেহ সড়কের ওপর রেখে অবরোধ করা হয়। তবে পুলিশি প্রচেষ্টায় বিক্ষোভ ওঠে। মৃতদের আত্মীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে, ভারতীয় বিচারবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে অভিযুক্ত কনস্টেবল ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুজনই অপরাধ স্বীকার করেছে।