মধ্যপ্রদেশের রাজধানী ভোপালে হিন্দু তরুণীকে গণধর্ষণের আরও একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এল। এই ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এই নিয়ে পাঁচ তরুণী মুখ খোলেন। দু'দিন আগে পঞ্চম একজন ভুক্তভোগী তরুণী পুলিশের কাছে আসেন। এই নিয়ে কলেজের পাঁচ ছাত্রী গণধর্ষণের অভিযোগ করে। দাবি করেন, ফারহান এবং আলি নামে অভিযুক্তরা গণধর্ষণ করে। এই ঘটনার পর, পুলিশ উভয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ধারায় আটক করা হয়।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ মূল অভিযুক্ত ফারহান বাথরুমে যাওয়ার নাম করে গাড়ি থামাতে বলে। এরপর পুলিশের কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নেয়, পুলিশ অভিযুক্তের পায়ে গুলি করে। অভিযুক্তকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এই ফারহান ভোপালের একটি গ্যাংয়ের অংশ ছিল। যারা বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে মাদক খাইয়ে, ধর্ষণ করে ভিডিও করে রাখত। এরপর সেই ফুটেজ ব্যবহার করে তাদের ব্ল্যাকমেইল করে বলে অভিযোগ। একটি বেসরকারি কলেজের তিনজন ছাত্রের সামনে আসার পর ২৫ এপ্রিল পুলিশ মামলা দায়ের করে।
পঞ্চম ভুক্তভোগী তাঁর জবানবন্দিতে পুলিশকে জানিয়েছেন, প্রায় এক বছর আগে ফারহান এবং আলি তাঁদের একসঙ্গে ধর্ষণ করেছিলেন। ঘটনাটি ঘটে অশোক গার্ডেন এলাকায়। একদিন তাঁরা ডিনারের জন্য ডাকা হয়েছিল। সেখানে তাঁকে গাঁজা ভর্তি একটি সিগারেট দেওয়া হয়। এরপর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে বলা হয়, এর বিরোধিতা করেন ভুক্তভোগী।
যখন সে প্রতিবাদ করে, তখন তারা দু'জনেই প্রথমে তরুণীকে মারধর করে। এরপর ফারহান ও আলী তাঁকে ধর্ষণ করে। এরপর এই ঘটনার বিষয়ে কাউকে বলতে নিষেধ করে। শুধু তাই নয়, মুখ খুললে ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দেওয়া হয়। এই ভয়ে সে চুপ করেছিল বলে দাবি ওঠে।
ভুক্তভোগী পুলিশকে জানিয়েছেন, কলেজে তাঁর সহপাঠী তাঁকে ফারহানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। ফারহানের সঙ্গে দেখা করার সময়, সে আলির সঙ্গেও বন্ধুত্ব করে। মাঝে মধ্যেই, তাঁরা তিনজন একসঙ্গে বাইরে খেতে যেত।
নির্যাতিতার বয়ানের ভিত্তিতে, পুলিশ উভয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ যুক্ত করেছে। মামলার প্রধান ফারহান গ্রেফতার হয়েছে। অভিযুক্ত আলি বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।