আরজি কর, বদলাপুর আবহেই আরও এক যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রাম। অভিযোগ, ৭ বছর বয়সী এক নাবালিকার যৌন নিপীড়ন করে এক ব্যক্তি। এরই মধ্যে স্থানীয়দের একাংশের দাবি, অভিযুক্তকে নাকি বাঁচানোর চেষ্টা করেন স্থানীয় টিএমসি নেতা। নির্যাতিতা নাবালিকার মা-বাবাকেও বোঝানোর চেষ্টা করেন ওই তৃণমূল নেতা।
এরপরের ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। শনিবার মধ্যরাতে মধ্যমগ্রামে তৃণমূল নেতা আবুল হাফিজের বাড়িতে স্থানীয়রা হামলা চালায়।
মধ্যমগ্রামের রোহান্দা পঞ্চায়েতের রাজবাড়ি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির দোকান ভাঙচুর শুরু করে। ঘটনাস্থলে যায় মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। গ্রামবাসীরা 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান দিতে থাকেন। তুমুল হই-হট্টগোল শুরু হয়। পুলিশের সামনেই ভাঙচুর চালাতে থাকে স্থানীয় লোকজন। এমনকি ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন। আর সেই কারণেই তাঁর উপর জনতার রোষ গিয়ে পড়ে। ভাঙচুর-অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় অতিরিক্ত পুলিশ। লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
অভিযুক্ত রউফকে গ্রেফতার করেছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। মধ্যমগ্রামে এক মুদিখানার দোকান আছে তার। সেই সঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামীকেও(যাঁর বিরুদ্ধে অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টার অভিযোগ) আটক করে পুলিশ।
এরপ পুলিশ পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী তথা টিএমসি নেতা আবুল হাফিজকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্তকে রক্ষা করার অভিযোগে গ্রেফতার করে।